গুয়াহাটি: প্রবল বৃষ্টির জেরে অসমের একাধিক জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি দেখতে পাওয়া গিয়েছ। কোথাও রাস্তা ভেঙে পাহাড়ি নদীতে পরিণত হয়েছে। কোথাও আবার ট্রেন ভেসে যাচ্ছে। টানা বৃষ্টিতে জলের তলায় লাইনগুলো ডুবতে শুরু করেছে। জলের স্রোতে ভাসতে শুরু করেছে কামরাগুলো। সেখানেই আটকে পড়েছেন ট্রেনের ২৮০০ জন যাত্রী। সম্প্রতি এমন ছবি সামনে উঠেছে। কোনও রকমে ওই যাত্রীদের উদ্ধার করা হয় বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরমের একের পর এক বাড়িতে CBI হানা
অসমের দিমা হাসাও জেলা বন্যার জন্য সব থেকে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এখানে লুমডিং শাখায় ট্রেন আটকে পড়েছিল। জানা যায়, দুটো ট্রেন আটকে পড়ে। একদিকে বন্যা পরিস্থিতি, ট্রেনের কামরায় জল ঢুকে আসছে, আর অন্যদিকে ধসের সম্ভাবনা, আতঙ্কে আটকে থাকেন যাত্রীরা। বায়ুসেনার উদ্যোগে দুটি ট্রেনের মোট ২৮০০ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সংবাদ সংস্থা একটি ছবি প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, চুতুর্দিকে কাদা জল। সেখানে রেললাইন জলের তলায়। রেল লাইন দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। সেখানেই দাঁড়িয়ে রয়েছে একটি ট্রেন। সেই ট্রেনটি একটা খেলনা গাড়ি লাগছিল।
অন্যদিকে, যে হারে বৃষ্টি হচ্ছে, অসমের বিভিন্ন জায়গা থেকে ভূমিধসের খবর পাওয়া যাচ্ছে। ইতিমধ্যে অসমের বন্যায় পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। কয়েকজন নিখোঁজ বলে জানা গিয়েছে। চলতি বছরে অসমের বন্যায় ৬৭ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ৩৯৯টি গ্রাম বিপর্যস্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। অসমের কাছার জেলার পরিস্থিতি ভয়ানক। সেখানে ৪১ হাজারের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অসমের বন্যার জেরে ২০৯.৬ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রবল বৃষ্টির জেরে প্রতি বছর উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটি বন্যার মুখে পড়ে। চলতি বছর প্রথমবারের জন্য বন্যার কবলে পড়েছে অসম। নগাঁওতে বন্যায় ফলে আটকে পড়া ৭০-৮০ জনকে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধার করেছে বলে জানা গিয়েছে। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক বিবৃতিতে নগাঁওয়ের স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, ‘বন্যায় আমাদের সব কিছু ধ্বংস হয়ে গেল। বহু মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন, রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছেন।’
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>