ললিতপুর: আবার শিরোনামে উঠে হল যোগী রাজ্য। মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ উঠল। বিবস্ত্র করে সেই পোশাক মহিলার মুখে গুঁজে দেওয়ার অভিযোগ উঠল দুই পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনায় এক মহিলা সাব ইন্সপেক্টর সহ দুই পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ললিতপুরে। কিছুদিন আগেই বিতর্কের শিরোনামে উঠে এসেছিল ললিতপুর। ১৩ বছরের কিশোরী গণধর্ষণের অভিযোগ জানাতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হন বলে অভিযোগ। কর্তব্যরত পুলিশ কর্মী তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। যার জেরে যোগী রাজ্যকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। সেই ললিতপুরের বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযোগ উঠল।
ডেপুটি পুলিশ সুপার ইমরান আহমেদ জানান, অংশু প্যাটেল পুলিশ কোয়াটারে তাঁদের পরিচারিকাকে বেধড়ক মারধর করেন। পাশাপাশি ওই পরিচারিকার স্বামীকেও মাপধর করা হয়। পরিচারিকার পোশাক খুলে নেওয়া হয়। সেই পোশাক মুখে গুঁজে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, বাড়িতে একটটি চুরির ঘটনা ঘটে। সেই সময় অংশু একজন তান্ত্রিকের কাছে যান। অংশুকে ওই তান্ত্রিক বলেন, বাড়ির পরিচারিকা চুরি করেছেন। এরপরেই অংশু পরিচারিকা ও তাঁর স্বামীকে মারধর করেন। অংশু তার পরিচারিকাকে কোতওয়ালি থানায় নিয়ে আসেন। সেখানে এক মহিলা সাব ইনসপেক্টরের সঙ্গে ফের মারধর করা হয়। ২ মে এই ঘটনা ঘটে। এরপরে ওই পারিচারিকার পরিবার কোতওয়ালি থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। তারপরেই ঘটনার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। দুই পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়।
পরিচারিকার পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, শুধু সন্দেহের জেরে একটা ঘরে বন্দি করে নির্যাতিতাকে বেল্ট দিয়ে মারা হয়। পোশাক খুলে বিবস্ত্র করা হয়। সেই পোশাক মুখে গুঁজে দেওয়া হয়, যাতে সে চিৎকার করতে না পারে।
ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সরব হয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, চার বর আগে সুপ্রিম কোর্ট সমস্ত থানায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু এখনও বেশিরভাগ থানার সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়। সেই নির্দেশ পালন করলে, এই ধরনের ঘটনা এড়ানো যেত।