ইম্ফল: প্রথমে অশান্তি শুরু হওয়ার পর মাঝে কয়েকদিন চুপ ছিল রাজ্য। তারপর আবার মণিপুরে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে। যদিও সেই পরিস্থিতি বেশিদিন টিকে থাকেনি। আবার শান্ত হয় উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য। এরই মাঝে আজ সেখানে সফর করার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। কিন্তু ফের একবার উদ্বেগ বাড়ল কারণ তাঁর সফরের আগেই নতুন করে উত্তাপ বেড়েছে মণিপুরে। রবিবার আবার দুই পক্ষের সংঘর্ষে একাধিকজন আহত হয়েছে। টানা আট ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সংঘাত হয়েছে বলে খবর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার কমপক্ষে ৫ জন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে, ১২ জন আহত। মৃতদের মধ্যে একজন পুলিশকর্মীও রয়েছেন। তাই আপাতত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর ঘিরে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সেনা বাহিনীর সঙ্গে যাদের সংর্ঘষ হয়েছে তাদের সন্ত্রাসবাদী ছাড়া কিছু বলা যায় না। ইতিমধ্যেই কমপক্ষে ৩০ জনকে নিকেশ করা হয়েছে বলেও খবর। শেষ কয়েক ঘণ্টায় মণিপুরের সেকমাই, সুগনু, কুম্বি, ফায়েং এবং সেরু-সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় সংঘর্ষ হয়েছে। ভাঙচুর-আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে একাধিক বাড়িঘর-দোকানপাটে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”জলের পাইপলাইন ফেটে ভয়াবহ দুর্ঘটনা! আকাশ ছুঁল জলের ধারা! জলের স্রোতে খড়কুটোর মতো ভেসে গেল গাড়ি” width=”853″>
মণিপুরের মেইতেই সম্প্রদায়কে তফসিলি উপজাতিভুক্তদের তালিকায় আনা যায় কি না তা খতিয়ে দেখতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই নির্দেশের বিরোধিতা শুরু হয় রাজ্যে। এরপর থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়া শুরু হয় রাজ্য। গত ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে অশান্তির সূত্রপাত হয়েছিল। সেই থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েই চলেছে।