তিহার জেলে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় আল–কায়দা ‘জঙ্গি’ চিকিৎসক!

তিহার জেলে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় আল–কায়দা ‘জঙ্গি’ চিকিৎসক!

নয়াদিল্লি: তিহারের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে কোভিড–১৯ আক্রান্ত বন্দিদের চিকিৎসা করতে চেয়েছেন ভারতে আল–কায়দার অপারেটিভ ধৃত চিকিৎসক সাবিল আহমেদ। এই মর্মে অনুমতি চেয়ে ধৃত সাবিল আহমেদ দিল্লি আদালতে আবেদন করেছেন। তাঁকে সৌদি আরবে নির্বাসনের পর গ্রেফতার করে পুলিশ।

বুধবার এই বিষয়ে আহমেদ বিশেষ বিচারপতি ধর্মেন্দ্র রানার কাছে আবেদন করেছেন। ১৫ মে এ নিয়ে শুনানি শুরু হবে। আহমেদের আইনজীবী এমএস খান আদালতকে জানিয়েছেন যে তাঁর মক্কেলের চিকিৎসার অভিজ্ঞতা সংশোধানাগারে কোভিড–১৯ আক্রান্তদের সহায়তা করতে পারে এবং কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দিদের চিকিৎসায় তিনি সাহায্য করতে পারেন। এই পরিস্থিতিতে জেল কর্তৃপক্ষকে সাহায্য করতে চেয়ে জেল সুপারের কাছেও অনুমতি চেয়েছিলেন তিনি। আহমেদের আবেদনে বলা হয়েছে, ‘এখানে উল্লেখ করা জরুরি যে অভিযুক্ত একজন যোগ্য এমবিবিএস চিকিৎসক, তাঁর গুরুতর কেস চিকিৎসা করার সাত বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাঁর অভিজ্ঞতা কোভিড ১৯ দমন করতে সাহায্য করবে এবং তিহার জেলের বন্দিদের চিকিৎসাতেও সুবিধা হবে।’ আহমেদের আইনজীবী বলেন, এ রকম পরিস্থিতিতে জেল কর্তৃপক্ষকে সাহায্য করার জন্য জেল সুপারিনটেনডেন্ট অভিযুক্তকে অনুমতি দিতেই পারেন।

আহমেদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা বিশেষ সেলের তরফে দাবি করা হয়েছে, ২০০৭ সালে ব্রিটেনের গ্লাসগো বিমানবন্দরে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার ঘটনায় যুক্ত ছিলেন তিনি এবং সৌদি আরব ও ব্রিটেনের জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গেও যুক্ত থাকার প্রমাণ মিলেছে।  ভারত ও বিদেশের অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনকে আর্থিক সহায়তা করার অভিযোগ ছিল আহমেদের বিরুদ্ধে। এই মামলায় পাঁচ অভিযুক্তের বিচার চলছে আদালতে। বিশেষ সেল দাবি করেছে যে কোভিড–১৯-এর কারণে বেঙ্গালুরুতে সন্দেহভাজন এবং সাক্ষীদের পরীক্ষা বিচারাধীন ছিল এবং মামলায় অভিযুক্ত বাকি ১০ জনের খোঁজ চলছে। ২০২০ সালের ২০ অগাস্ট মাসে আহমেদকে প্রথম সৌদি আরব থেকে বেঙ্গালুরু নিয়ে আসা হয়। এরপর এ বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি বিশেষ সেলের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three + 12 =