নয়াদিল্লি: গত মে মাস থেকে জনজাতি গোষ্ঠীর লাগাতার সংঘর্ষে উত্তপ্ত মণিপুর। রাজ্যের বিভিন্ন অংশ থেকে ব্যাপক হিংসার খবর প্রায় প্রতিদিনই আসছে। মাঝে অশান্তি একটু কমলেও আবার তা বিরাট আকার ধারণ করে। কয়েক সপ্তাহ আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিজে মণিপুর সফরে গিয়ে একদিকে যেমন শান্তির বার্তা দিয়েছিলেন অন্যদিকে জঙ্গিদের উদ্দেশে কড়া হুঁশিয়ারিও ছিল তাঁর। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি। এবার মণিপুরে শান্তি ফেরাতে সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিলেন তিনি। আগামী ২৪ জুন এই বৈঠক হওয়ার কথা।
মণিপুরের অশান্তি নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকের দাবি জানিয়েছিল বিরোধীরা। অবশেষে সেই দাবি মেনে নিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আসলে এই মুহূর্তে যা অবস্থা তাতে বলা যায়, মণিপুরের পরিস্থিতি ক্রমশ রাজ্য এবং কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। তাই সব দল মিলিতভাবে যদি কিছু করার চেষ্টা না করে তাহলে আগামী দিনে রাজ্যের চিত্র আরও বদলাতে পারে। শেষ পাওয়া তথ্য বলছে, ইতিমধ্যে রাজ্যে ১০০-র ওপর মৃত্যু ঘটেছে এবং প্রায় ৪০ হাজারের বেশি মানুষ ঘরছাড়া। বলাই যায়, জনগোষ্ঠীর সংঘর্ষ গৃহযুদ্ধের আকার নিয়েছে। তাই সরকার এবার কড়াভাবেই কোনও পদক্ষেপ নিতে চায়।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”হাইকোর্টের নির্দেশ কতটা তাৎপর্যপূর্ণ? মনোনয়ন পেশে থানাকে সাহায্য! | bengal panchayat election 2023″ width=”789″>
সম্প্রতি মণিপুর সরকারের তরফে এক রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, রাজ্যে এই মুহূর্তে প্রায় ২ হাজার অনুপ্রবেশকারী রয়েছে, যারা মায়ানমার থেকে এসেছে। রাজ্যের প্রায় ৪১টি এলাকায় তারা ছড়িয়ে আছে বলেও দাবি। তারাই যে রাজ্যে জঙ্গি কার্যকলাপ করছে সেটা স্পষ্ট। কয়েক দিন আগেই উন্মত্ত একদল জনতা আচমকা সেনা শিবিরে ঢুকে অস্ত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। এরপরেই অশান্তি আরও বেশি করে ছড়িয়ে পড়ে মণিপুরে।