নয়াদিল্লি: অপ্রত্যাশিত একেবারেই নয়। এমনটা হওয়ার ছিল। শেষ পর্যন্ত তিহাড় জেলেই যেতে হল গরু পাচার কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে। আগেই সেখানে বন্দি আছেন সায়গল হোসেন, মনীশ কোঠারি। এবার তাঁদের সঙ্গে জেলবন্দি হলেন বীরভূমের এই তাবড় নেতা। অনুব্রত মণ্ডলকে ১৩ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত।
আরও পড়ুন- কোথায় কেষ্ট-কন্যা? বোলপুর ছেড়েছেন, পৌঁছলেন না দিল্লি, ইমেল পাঠিয়ে অন্তরালে সুকন্যা
গত ৭ মার্চ আসানসোল থেকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয় এই তৃণমূল নেতাকে। তারপর একাধিকবার তাঁকে জেরা করেছে ইডি। তলব করার পর অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মনীশ কোঠারিকেও সম্প্রতি গ্রেফতার করেছে তারা। আবার তলব করা হয় অনুব্রতর ‘রাঁধুনি’ বিজয় রজককে। তৃণমূল নেতার মেয়ে সুকন্যাকেও তলব করা হয়েছিল কিন্তু তিনি সেই তলবে সাড়া দেননি। অনুমান করা হচ্ছে, আগামী দিনে হয়তো তাঁকেও আটক করতে পারে ইডি। কিন্তু আপাতত ‘কেষ্ট’ নিজের জেল যাত্রা কোনও ভাবেই আটকাতে পারলেন না।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”ফের হাজিরা এড়ালেন সুকন্যা! Sukanya Mondal skips ED summon again” width=”853″>
এখন তিহাড় জেলে সায়গল হোসেন, মণীশ কোঠারি ছাড়াও বন্দি রয়েছেন এনামুল হক। তাদের সঙ্গেই এবার সেখানে যোগ দিচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল। তবে নিজের জেল যাত্রা আটকাতে শেষ চেষ্টাও করেছিলেন তৃণমূল নেতা। গতকাল অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবীর দাবি ছিল যে তাঁর মক্কেল অসুস্থ। জেলের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসার দাবি জানিয়েছিল তিনি। কিন্তু সেই রকম কোনও নির্দেশ এদিন আদালত দেয়নি। শুধু যে ওষুধ অনুব্রত মণ্ডল খান সেইসব তাঁর সঙ্গে রাখতে কোনও অসুবিধে নেই বলেই জানান হয়েছে।