নয়াদিল্লি: বুধবার ভীমা করেগাঁও হিংসা মামলায় ৮৩ বছরের তেলেগু কবি এবং মানবাধিকার কর্মী পি ভারাভারা রাওয়ের এর জামিন মঞ্জুর করল সুপ্রিম কোর্ট। দিন কয়েক আগেই সুপ্রিম কোর্টে জানানো হয়েছিল যে, কবির বয়স হয়েছে এবং তিনি অসুস্থ। আর তাই ব্যক্তিগত কারণে চিকিৎসা করানোর জন্যই এদিন তাঁর জামিন মঞ্জুর করল শীর্ষ আদালত। এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ইউ ইউ লোলিতের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই মামলার শুনানিতে জানায়, পি ভারাভারা রাও তাঁর পছন্দমত চিকিৎসা সহায়তা নিতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে তাঁকে আদালতের বেশ কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে। সেই শর্তের ভিত্তিতেই তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২৮ আগস্ট ভীমা করেগাঁও হিংসা মামলায় জড়িত থাকার সন্দেহে ভারাভারাকে তাঁর হায়দারাবাদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে তাঁকে গৃহবন্দী রাখা হলেও পরে ওই বছরেরই ১৭ নভেম্বর তাঁকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়। এরপর তাঁকে পাঠানো হয় মহারাষ্ট্রের কালোজা সংশোধনাগারে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, মহারাষ্ট্রের পুনেতে এলগার পরিষদ কনক্লেভে কবি উস্কানিমূলক বক্তৃতা দিয়েছিলেন। ভারাভারা রাওয়ের সেই উস্কানিমূলক বক্তৃতার কারণেই ভীমা করেগাঁও যুদ্ধের ২০০তম বার্ষিকীতে হিংসার ঘটনা ঘটেছিল।
অন্যদিকে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই বোম্বে হাইকোর্টে চিকিৎসা সংক্রান্ত কারণে জামিনের আবেদন করছিলেন ভারাভারা রাও। আদালতে তিনি জানিয়েছিলেন যে, তিনি হায়দ্রাবাদে ফিরে যেতে চান এবং সেখানে গিয়েই নিজের চিকিৎসা করাতে চান। কিন্তু গত ১৩ এপ্রিল তার সেই আবেদন খারিজ করে বোম্বে হাইকোর্ট। এরপরই হাইকোর্টের রায়কে পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন কবি। বুধবার সেই শীর্ষ আদালতই ভারাভারা রাওয়ের জামিন মঞ্জুর করল। তবে একই সঙ্গে এদিন শীর্ষ আদালত কবিকে স্বাধীনতার অপব্যবহারের বিষয়েও সতর্ক করে দিয়েছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে তিনি যেন ভীমা করেগাঁও হিংসা মামলায় জড়িত সাক্ষীদের সঙ্গেও কোনওরকম যোগাযোগ করার চেষ্টা না করেন।
