ইম্ফল: নতুন করে আবার অশান্ত হওয়ার পর মণিপুরে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। সোমবার জানা গিয়েছিল, এক কংগ্রেস বিধায়কের বাড়ি-সহ প্রায় ২০০ বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় এবং সংঘর্ষের ঘটনায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার পরিস্থিতি আরও ভয়ানক। তল্লাশি অভিযান চলাকালীন গুলিতে মৃত্যু হল এক বিএসএফ জওয়ানের। এছাড়া গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও ২ জওয়ান। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি কার্যত হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
সোমবার ককচিং জেলার সুগনুতে নতুন করে সংঘর্ষ ছড়ানোয় ঘরছাড়া হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। কয়েকদিন আগেই রাজ্যের যে সব অঞ্চলে কার্ফু জারি ছিল তার মধ্যে বেশিরভাগ অঞ্চল থেকে কয়েক ঘণ্টার জন্য কার্ফু তুলে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আবার সেই আগের মতো অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে। এদিকে সেনা সূত্রে খবর, ৫ এবং ৬ জুন রাতে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল নিরাপত্তাবাহিনী। এই অভিযান চলাকালীন গুলিতে মৃত্যু হয়েছে এক বিএসএফ জওয়ানের। অসম রাইফেলসের ২ জওয়ান এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মণিপুরের সিরোউয়ে এই ঘটনা ঘটেছে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”মাঝেমধ্যেই রেল দুর্ঘটনা ঘটছে কেন? করমণ্ডল সুপার ফাস্ট এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা | Train Accident” width=”853″>
জানা গিয়েছে, অসম রাইফেলস, বিএসএফ এবং পুলিশের সম্মিলিত দল এই এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিল। সেই সময়ই অতর্কিতে তাদের ওপর হামলা হয়। সূত্রের খবর, গুলিতে যে জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে তিনি বাংলার বাসিন্দা। ভাটপাড়া এলাকায় তাঁর বাড়ি। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্য সফরে গিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে বলেছিলেন, মণিপুর ভাগ হতে দেবেন না তিনি। আর জঙ্গিরা যদি অস্ত্র ত্যাগ না করে তাহলে আগামী দিনে ফল যে ভয়ানক হবে তাদের জন্য। এই হুঁশিয়ারির পরে বিভিন্ন এলাকা থেকেই হিংসার ঘটনা কমে আসার খবর মিলছিল। কিন্তু এখন অভিযোগ, কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি সইয়ের পরেও কুকি জঙ্গিরা হিংসা ছড়াচ্ছে।