নয়াদিল্লি: সেনাবাহিনীর নিয়োগের জন্য নতুন প্রকল্প ‘অগ্নিপথ’ এনেছে ভারত সরকার। কিন্তু তার ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই উত্তাল গোটা দেশ। পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তরপ্রদেশ সহ অন্তত ১৩ রাজ্য এখন প্রতিবাদের আগুনে জ্বলছে। রেল স্টেশন চত্বর থেকে শুরু করে অফিস সবকিছুই ভাঙা হচ্ছে। রাস্তায় অবরোধ, ভাঙচুর তো আছেই। কেন্দ্র এখনও এই সিদ্ধান্ত থেকে পিছনে সরে আসেনি তাই ক্ষোভ আরও বাড়ছে। এবার এই ইস্যু আরও গভীর হল কারণ ‘অগ্নিপথ’ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে।
আরও পড়ুন- অদূরেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, কী ভাবে হয় নির্বাচন, কারা ভোট দেন?
এই নয়া প্রকল্প নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন দিল্লির এক আইনজীবী। তিনি দাবি তুলেছেন, এই প্রকল্পের সমস্ত খুঁটিনাটি জানতে একজন প্রাক্তন বিচারপতিকে দিয়ে কমিটি গঠন করা হোক। অগ্নিপথের জেরে যেভাবে দেশজুড়ে হিংসাত্মক আন্দোলনের ছবি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে তা তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করা হোক। ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, দেশ জুড়ে যে বিক্ষোভ চলছে তাতে শুধু বিহারেই রেলের ক্ষতি হয়েছে ২০০ কোটি টাকা! সব মিলিয়ে জ্বলেছে ট্রেনের ৫০ টি কামরা, পাঁচটি ইঞ্জিন। এই আন্দোলন বিহার ছাপিয়ে রাজস্থান, তেলেঙ্গানা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। একের পর এক জায়গায় মাথাচাড়া দিয়েছে উত্তেজনা।
গত বুধবার কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ঘোষণা করেছিলেন অগ্নিপথ প্রকল্পের বয়সের উর্দ্ধসীমা ১৭.৫ থেকে ২১ বছর। এরপরই শুরু হয় বিক্ষোভ। সেই চাপে পড়ে একদিনের মধ্যেই পিছু হটতে হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে এবং বয়সের উর্ধ্বসীমা ২১ থেকে বাড়িয়ে ২৩ করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি কিছুই পাল্টায়নি। কেন্দ্র জানিয়েছে, ভারতীয় সেনার মাপকাঠির ভিত্তিতে শারীরিক সক্ষমতা এবং মেধা যাচাই করেই ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পে নিয়োগ করা হবে। প্রথম ছ’মাস প্রশিক্ষণ পর্ব। চার বছর পর অগ্নিবীরদের এক চতুর্থাংশ যোগ্যতার ভিত্তিতে ভারতীয় সেনায় আরও ১৫ বছরের জন্য কাজ করার সুযোগ পাবেন।