নয়াদিল্লি: নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে বিতর্ক যেন বেড়েই চলেছে। এবার সংবিধান অবমাননার মামলা দায়ের হল সুপ্রিম কোর্টে। মামলাকারীর প্রশ্ন, সংসদের অবিচ্ছেদ্য অংশ হলেন রাষ্ট্রপতি। তাহলে তাঁকে কেন সংসদ ভবনের উদ্বোধন থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে? এই প্রেক্ষিতেই দেশের শীর্ষ আদালতে দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। লোকসভা সচিবালয় এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে যাতে কড়া নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট, সেই আবেদনও করা হয়েছে।
অধিকাংশ বিরোধীদল এই অনুষ্ঠান বয়কটের ডাক দিয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে কংগ্রেস, শিবসেনা, তৃণমূল কংগ্রেস, আপ সহ ১৯ টি রাজনৈতিক দল। তারা দাবি করেছে, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে বাদ দিয়ে এই নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে কখনই সমর্থন করছে না তারা। এই অবস্থায় সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা রুজু করেছেন এক আইনজীবী। তাঁর পরিষ্কার বক্তব্য, সংসদের যে কোনও কক্ষের অধিবেশন ডাকার বা ভেঙে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে রাষ্ট্রপতির। তিনি সংবিধান, সংসদের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই তাঁকে বাদ দিয়ে সংবিধান অবমামনা করা হয়েছে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”মধ্যপ্রদেশে সময়ের আগেই প্রচারে কেন কংগ্রেস? কর্ণাটক জয় কি কংগ্রেসের বাড়তি পুষ্টির কারণ?” width=”789″>
যদিও কেন্দ্রের তরফ থেকে সকলকে একজোট হওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে। সেই বার্তায় আপাতত সাড়া দিয়েছে বাকি কিছু বিরোধী দলগুলি। ১৭টি অ-বিজেপি দল এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চলেছে বলে খবর। ওড়িশার বিজু জনতা দল, অন্ধ্রের ওয়াইএসআর কংগ্রেস, পঞ্জাবের শিরোমণি অকালি দল সহ একাধিক দল এই তালিকায় আছে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের শিবসেনা, হরিয়ানার উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত চৌটালার জেজেপি, তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পলানীস্বামীর এডিএমকে। এছাড়াও নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেফিয়ু রিওর এনডিপিপি, মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গার মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট, মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার দল এনপিপি।