করোনায় মৃত ব্যক্তিদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ নিয়ে কী ভাবনা কেন্দ্রের!

করোনায় মৃত ব্যক্তিদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ নিয়ে কী ভাবনা কেন্দ্রের!

নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে সুপ্রিম কোর্টকে জানানো হয়েছে, করোনায় মৃত ব্যক্তিদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ না দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের সামর্থ্যের অভাব কারণ নয়। এই মহামারী পরিস্থিতিতে সরকার আর্থিক এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে জাতীয় সম্পদ সবচাইতে যুক্তিসঙ্গত ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে বদ্ধপরিকর। শীর্ষ আদালতের কাছে একটি হলফনামায় কেন্দ্র জানিয়েছে, জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইনে এমন কোন বীমার কথার উল্লেখ নেই যার কারণে করোনায় মৃত ব্যাক্তিদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া যায়।
 
উল্লিখিত হলফনামায় আরও দাবি করা হয়, ১৫ তম অর্থ কমিশন ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে তালিকায় আরও বিপর্যয় নথিভুক্ত করার জন্য রাজ্যগুলির অনুরোধ বিবেচনা করেছিল। তবে এক্ষেত্রে সেই তালিকায় করোনাকে নথিভুক্ত করার জন্য যথেষ্ট কারণ পাওয়া যায়নি। যেকারণে জাতীয় দুর্যোগ ত্রাণ তহবিল থেকে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া যাচ্ছেনা। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে নুন্যতম ক্ষতিপূরণ করোনায় মৃতদেরকে নির্ধারিত নিয়ম মেনে প্রদান করেছে বলে জানানো হয়েছে।

পাশাপাশি, কোন রাজ্য করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সাহায্যের জন্য কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি তাও জানানো হয় শীর্ষ আদালতকে। তবে কেন্দ্র ইতিমধ্যেই জাতীয় দুর্যোগ ত্রাণ তহবিল ব্যবহারে অনুমতি দিয়েছে – অক্সিজেন উৎপাদনে, পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য এবং এই মহামারী পরিস্থিতিতে দেশের সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য। ফিন্যান্স কমিটি যে চারটি বিষয়ে বীমার জন্য এনডিএমএ এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রককে প্রস্তাব দিয়েছে সেগুলি হল-
 
১. দুর্যোগজনিত মৃত্যুর জন্য জাতীয় বীমা প্রকল্প
 
২. ফসল বীমার সাথে ত্রাণের সমন্বয়
 
৩. পরিকাঠামোর সুরক্ষা এবং পুনরুদ্ধারের জন্য জরুরি তহবিল
 
৪. অন্য দেশে থাকা এদেশের বাসিন্দাদের বিপত্তিতে আন্তর্জাতিক পুনঃবীমার সুবিধে
 
কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া হলফনামায় সুপ্রিম কোর্টকে জানানো হয়েছে, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক ভারতে বিপর্যয়ে ঝুঁকি সহ বীমা বিষয়ক প্রচারের জন্য একটি নতুন প্রযুক্তির ধারণা দেওয়া হয়েছে। ভারতের রাজ্যগুলিতে বিপর্যয়ে আর্থিক অবস্থার উন্নতির দিকে নজর রাখছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক। এবিষয়ে ব্যাঙ্কের পক্ষ গত ৫ এপ্রিল এনডিএমএ এর সাথে একটি বৈঠক করা হয়। এই বৈঠকে হাইব্রিড বীমা সমাধানের প্রস্তাব দেওয়া হয়। যে বীমায় প্যারামেট্রিক বীমা এবং ক্ষতিপূরণকে একত্রিত করার কথা বলা হয়। পাশাপাশি, অর্থ মন্ত্রক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং এনডিএমএ কে যৌথ বৈঠকের পরামর্শও দেওয়া হয়। ভারতের রেজিস্ট্রার জেনারেলকেও সারা দেশে মৃত্যুর কারণ নথিভুক্তের সরলীকরণ করার জন্যেও বলা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − fourteen =