তিন দেশের অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব! কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে বাড়ল বিতর্ক

তিন দেশের অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব! কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে বাড়ল বিতর্ক

নয়াদিল্লি: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ এখনও কার্যকর হয়নি। তাতেও বড় সিদ্ধান্ত নিতে পিছপা হল না দেশের কেন্দ্রীয় সরকার। বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল তারা। বিষয় হল, সামনেই গুজরাটে ভোট। তার আগে এই সিদ্ধান্ত ভোট টেনে নেওয়ার জন্যই বলে দাবি করছে বিরোধীরা। পাশপাশি কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্কও দানা বেঁধেছে। বিরোধীদের বক্তব্য, সিএএ কার্যকর হয়নি, তাই এই সিদ্ধান্ত বেআইনি।

আরও পড়ুন- কারচুপি করার চেষ্টা করছে কমিশন, তৃণমূলকে জেতাতে চায়! বিস্ফোরক শুভেন্দু

গুজরাতের মেহসানা ও আনন্দ জেলায় বসবাসকারী অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। কিন্তু সত্যি তারা এই সিদ্ধান্ত নিল কী ভাবে? জানা গিয়েছে, ‘নাগরিকত্ব আইন, ১৯৫৫’-এর আওতায় এই পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র। বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা অ-মুসলিম অর্থাৎ হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্ট শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদান করবে তারা। সিএএ-র প্রয়োগ না করে কিছুটা ‘নাক ঘুরিয়ে’ এই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর আগে গুজরাত ছাড়াও রাজস্থান, ছত্তিশগড়, হরিয়ানা ও পঞ্জাবের মোট ১৩টি জেলায় বসবাসকারী অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব পেতে আবেদন জানানোর নির্দেশ দিয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তখন ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন এবং ২০০৯ সালের নিয়মে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

ইতিমধ্যে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিরোধীরা আপত্তি তুলতে শুরু করেছে। দাবি করা হচ্ছে, রাজ্যের  সেতু বিপর্যয় থেকে নজর ঘোরাতে এটা নির্বাচনী চমক। এই সিদ্ধান্ত ভাঁওতাবাজি বলেও কটাক্ষ করা হয়েছে। তৃণমূলের তরফ থেকে জানান হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার মনে করে, যাঁরা ভোট দিয়ে এদেশের সরকার নির্বাচিত করে, তাঁরা সকলেই নাগরিক। অন্যদিকে, বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, সিএএ প্রয়োগ শুরু হল এইভাবে। বাংলাতেও এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তাড়াতাড়ি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five + 4 =