রাজপথের আকাশে বায়ুসেনার আস্ফালন, রুদ্র ফরমেশনের ককপিট ভিউয়ে মুগ্ধ দর্শক

রাজপথের আকাশে বায়ুসেনার আস্ফালন, রুদ্র ফরমেশনের ককপিট ভিউয়ে মুগ্ধ দর্শক

 

নয়াদিল্লি: ৭৩ তম প্রজাতন্ত্র দিবসে অন্যতম আকর্ষণ ছিল ভারতীয় বায়ুসেনার ফ্লাইপাস্ট৷ রাজধানীর আকাশে দাপট দেখাল রুদ্র ফরমেশন৷ যার ককপিট দৃশ্যে মুগ্ধ দর্শকবৃন্দ৷ জাতীয় পতাকা নিয়ে দিল্লি গেটের উপর দিয়ে উড়ে চলল অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার  ওয়েপন সিস্টেম রুদ্র৷ রুদ্র ফরমেশনের এই ফ্লাইপাস্টের নেতৃত্বে ছিলেন ৩০১ আর্মি অ্যাভিয়েশন স্পেশাল অপারেশনস স্কোয়াড্রনের কর্নেল সুদীপ্ত চাকি৷ দুটি ধ্রুব হেলিকপ্টার এবং দুটি এএলএইচ রুদ্র হেলিকপ্টারের ফ্লাই পাস্টে তৈরি হয় এক বর্ণাঢ্য দৃশ্য৷ 

আরও পড়ুন- রাফাল যুদ্ধবিমানের প্রথম মহিলা পাইলট! কে এই ললনা

এ বছর স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ৭৫টি বিমান ও হেলিকপ্টার নিয়ে বিশেষ ফ্লাইপাস্টের আয়োজন করেছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে ভারতীয় বায়ুসেনার ট্যাবু ছিল ‘ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স ট্রান্সফর্মিং ফর দ্য ফিউচার’৷ MiG-21, Gnat, লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার (LCH), Aslesha রাডার এবং রাফায়েল বিমানের স্কেল-ডাউন মডেলগুলি প্রদর্শন করা হয়৷  

স্কোয়াড্রন লিডার মনীশ কুমার এবং স্কোয়াড্রন লিডার আশীর্বাদ মিশ্র ফাইটার পাইলট এবং ফরোয়ার্ড এরিয়া কন্ট্রোলার হিসাবে ট্যাবুতে উপস্থিত ছিলেন। স্কোয়াড্রন লিডার শশী প্রকাশ মিশ্র আইএসিসিএস-এর ইন্টারসেপ্ট ডিরেক্টর এবং ফিট লেফটেন্যান্ট শিবাঙ্গী সিং রাফাল বিমানের ফাইটার পাইলট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন৷ 

১৯৭১-এর যুদ্ধে প্রতিপক্ষকে চরম চাপে ফেলেছিল মিগ-২১৷ এয়ার স্ট্রাইক বাধ্য করেছিল প্রতিপক্ষকে আত্মসমর্পণ করার জন্য৷ ভারতের জয়ের অন্যতম নায়ক ছিল মিগ। অন্যদিকে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি যুদ্ধবিমান Gnat-এ রয়েছে ৩০ মিমি এডেন বন্দুক এবং রকেট৷ যা ‘Sabre Slayer নামেও পরিচিত৷ ডগ ফাইটে শত্রু বিমানের সঙ্গে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে সেরা বিমান হিসাবে বিবেচিত হয়েছিল।

দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার (LCH) হাই অলটিটিউডে অপারেশন চালাতে সিদ্ধহস্ত৷ এতে রয়েছে ধ্রুবাস্ত্র অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল৷ Aslesha MK-1 হল থ্রি ডায়মেনশনাল লো-লেভেল লাইন ওয়েট এবং মাল্টি-বিম গ্রাউন্ড-বেস 3D  নজরদারি রাডার। এটি বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন রয়েছে৷ হেলিকপ্টার, ফাইটার, ইউএভি সহ নিচু এবং মাঝারি উচ্চতায় যে কোনও লক্ষ্যবস্তুকে সনাক্ত ও ট্রাক করার ক্ষমতা রয়েছে৷ 
 

C-130J সুপার হারকিউলিস পরিবহন বিমানও প্যারেডের জন্য রাজপথের আকাশে ফ্লাই পাস্টে অংশ নেয়। ফ্লাই পাস্টের জন্য ক্যামেরাগুলো অন্য এক বিমানের ককপিটে স্থাপন করা হয়েছে যাতে নতুন দৃশ্য দেখা যায়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten − six =