দেশে ফের বাড়ল আক্রান্তের সংখ্যা, ডেল্টা প্লাস প্রজাতিতে প্রথম মৃত্যু মধ্যপ্রদেশে

দেশে ফের বাড়ল আক্রান্তের সংখ্যা, ডেল্টা প্লাস প্রজাতিতে প্রথম মৃত্যু মধ্যপ্রদেশে

 

নয়াদিল্লি:  দেশে ফের কিছুটা উর্ধ্বমুখী সংক্রমণের গ্রাফ৷ বাড়ল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা৷ তবে কিছুটা কমল মৃত্যুর হার৷ অন্যদিকে, চোখ রাঙাচ্ছে ডেল্টা প্লাস প্রজাতি৷ ডেল্টা প্লাস প্রজাতিতে আক্রান্ত হয়ে দেশে প্রথম মৃত্যু হল মধ্যপ্রদেশে৷ মৃত মহিলা উজ্জয়িনীর বাসিন্দা৷ 

আরও পড়ুন- ধোপারাও ‘কোভিড যোদ্ধা’ সম্মান চান!

এখনও পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশে ৫ জন আক্রান্তেক শরীরে ডেল্টা প্রজাতির ভাইরাস মিলেছে৷ তাঁদের মধ্যে ২ জন উজ্জয়িনীর এবং ৩ জন ভোপালের৷ তাঁদের মধ্যে একজন মহিলার মৃত্যু হলেও, বাকি চার জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে জানা গিয়েছে৷ উল্লেখ্য, ২৩ জুন মৃত্যু হয় ওই মহিলার৷ তবে তাঁর জিনোম বিশ্লেষণ করার পর বুধবার ডেল্টা প্লাস প্রজাতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উজ্জয়িনীর নোডাল কোভিড অফিসার রৌনক। জানা গিয়েছে, ওই মহিলা করোনা টিকার একটি ডোজ নিয়েছিলেন৷ আরও একটি ডোজ নেওয়া বাকি ছিল তাঁর৷  

আরও পড়ুন- সর্বোচ্চ সন্তান থাকা পরিবারকে এক লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা

এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪ হাজার ৬৯ জন৷ বুধবার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫০ হাজারের একটু বেশি৷ অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১,৩২১ জনের৷ তবে একই সঙ্গে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬৮ হাজার ৮৮৫ জন রোগী৷ ডেল্টা প্লাস প্রজাতি নিয়েই উদ্বেগ বাড়ছে৷ ভাইরাসের এই প্রজাতি ভয়াবহ আকার নিয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে৷ অন্যদিকে ব্রাজিলে চোখ রাঙাচ্ছে গামা স্ট্রেন৷  
 

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় টিকাকরণের উপরেই অধিক জোড় দেওয়া হচ্ছে৷ দেশজুড়ে টিকার আভাবে উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছিল দেশবাসী৷ তবে এখন কিছুটা গতি ফিরেছে৷ পাশাপাশি শুরু হয়েছে ১৮ ঊর্ধ্ব সকল নাগরিকের জন্য বিনামূল্যে টিকাকরণ৷  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 4 =

আরও ভয়ানক মিউটেশনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে ভারতকে

আরও ভয়ানক মিউটেশনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে ভারতকে

নয়াদিল্লি: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বেসামাল ভারত৷ ভ্যারিয়েন্টস অফ কনসার্ন (VoC) বা ভ্যারিয়েন্টস অফ ইনটারেস্ট (VoI) এর সামগ্রিক চিত্রটি কিন্তু অনেকটাই জটিল৷ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এই সঙ্কট কিন্তু সম্পূর্ণ অনাকাঙ্খিত ছিল না৷ 

আরও পড়ুন- বিজ্ঞানকে উপেক্ষা নাকি রাজনৈতিক ব্যর্থতার মাশুল গুনছে ভারত?

ব্রাজিলের মানাউস শহরের অর্ধেক জনসংখ্যা ভয়াবহ দ্বিতীয় তরঙ্গে আক্রান্ত হওয়ার পর একটি স্পষ্ট উদাহরণ তৈরি করেছিল৷ তখনই টিকাকরণের উপর জোড় দেওয়া উচিত ছিল৷ কিন্তু প্রতিটি স্তরে কোভিড উপযুক্ত আচরণ লঙ্ঘন করা হয়েছে৷ সমাজের প্রতিটি স্তরে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত ছিল৷ যা নিশ্চিত ভাবেই ঝুঁকি কমাতো৷ তবে যে ভাবে পি১ প্রজাতি ব্রাজিলে আলোড়ন ফেলেছে, তেমনই বর্ধিত ট্রান্সমিসিবিলিটি এবং মানব প্রতিরোধ ব্যবস্থা থেকে বাঁচার সম্ভাবনা সহ বিভিন্ন রূপগুলি সম্ভবত ভারতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভাইরাস যত ছড়ায় তার মিউটেশনের হারও তত বৃদ্ধি পায়। তবে এখনও পর্যন্ত এই নয়া ভ্যারিয়্যান্ট নিয়ে বিশেষ কোনও তথ্য বিজ্ঞানীদের কাছে না থাকায় আপাতত ‘ভ্যারিয়্যান্ট অব কনসার্ন’-এর বদলে ‘ভ্যারিয়্যান্ট অব ইন্টারেস্ট’-এর তালিকাতেই রাখা হয়েছে এটিকে। করোনার প্রথম রূপটি ছিল B.1.1.7৷ এটি মূলত ব্রটেনের প্রজাতি৷ ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পূর্বে এই ভ্যারিয়েন্টটি পাওয়া যায়। 

এর পরে রয়েছে ব্রাজিলে ভেরিয়েন্ট E484K৷ যা আগের মিউট্যান্টসের চেয়ে বহুগুণ বিপজ্জনক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার B.1.351৷ যা  ব্রিটেন-সহ কমপক্ষে ২০টি দেশে পাওয়া গিয়েছে। এই প্রজাতিটিই রূপান্তরিত হয়ে E484K-র অন্তর্গত হয়েছে। অ্যান্টিবডিগুলিকে ডজ করার ক্ষেত্রে কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছিল। এর পর রয়েছে N501৷ যা সবচেয়ে বেশি মারাত্মক বলে মনে করা হচ্ছে৷  
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × 1 =