নয়াদিল্লি: বিগত কয়েক দিন যাবত স্বস্তি বজায় থাকলেও আবার দেশের কোভিড গ্রাফ নিয়ে বিরাট চিন্তা বাড়ছে। আজ তুলনায় দৈনিক সংক্রমণ বেড়েছে কিন্তু একদিনে মৃত্যু অনেক কম। একাধিক রাজ্যের পরিসংখ্যানে বদল হলেও সবথেকে বেশি চিন্তা হচ্ছে দিল্লিকে নিয়ে। শুধু দিল্লি নয়, রাজস্থান, পাঞ্জাব, কেরল, তামিলনাড়ুর নিয়েও চিন্তা। কারণ সেখানে করোনা গ্রাফ শেষ কয়েক দিন থেকে ঊর্ধ্বমুখী। মাঝে অনেক রাজ্যে কোভিড বিধি শিথিল করে দিয়েছিল। কিন্তু এখন আবার নতুন করে নিয়ম লাগু করা হচ্ছে। মাস্কও বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনার নতুন ওয়েভের আশঙ্কা, কারফিউ ঘোষণার পথে দিল্লি
কেন্দ্রীয় তথ্য বলছে, আজ দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৯২৭ জন। শুধু দিল্লিতেই আক্রান্ত ১ হাজার ২০০-র বেশি। এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের। আবার একদিন সুস্থ হয়েছে ২ হাজার ২৫২ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৫ লক্ষ ২৫ হাজার ৫৬৩ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১৬ হাজার ২৭৯। এদিকে মোট মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ২৩ হাজার ৬৫৪ জনের। আপাতত দেশের সুস্থতার হার ৯৮.৭৫ শতাংশ। টিকাকরণও চলছে দাপটের সঙ্গে। এতদিনে মোট টিকা দেওয়া হয়েছে ১৮৮ কোটি ১৯ লক্ষের বেশি ডোজ। ভারতের করোনা কালে প্রথম থেকে সংক্রমণের শীর্ষে ছিল মহারাষ্ট্র। এখন আশঙ্কা, দিল্লি যেন তার জায়গা না নিয়ে নেয় নতুন করে। করোনার চতুর্থ ঢেউ নিয়ে উদ্বেগ ব্যাপক হারে বাড়ছে।
সারা দেশের পাশাপাশি দিল্লিতেও বর্তমানে উপসর্গহীন আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। দিল্লিতে বর্তমানে মোট করোনা আক্রান্তের দুই থেকে তিন শতাংশ রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। তাই দিল্লিতে লকডাউন হবে কি না, এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লি প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী চার পাঁচদিন রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হবে। তারপরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দিল্লিতে যদি সংক্রমণের হার পাঁচ শতাংশের বেশি হয়, সেক্ষেত্রে দিল্লি সরকার শহরে কারফিউ জারি করতে পারে।
