নয়াদিল্লি: প্রবল থেকে আরও প্রবলতর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে ‘মোকা’ একথা জানাই ছিল। আবহাওয়া দফতর যা পূর্বাভাস দিয়েছিল তা মিলে গিয়ে এই ঘূর্ণিঝড় এখন ‘এক্সট্রিমলি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম’ বা মারাত্মক প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এতে কতটা ক্ষতি হতে পারে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। হাওয়া অফিসের অনুমান, বাংলাদেশ এবং মায়ানমার উপকূলে আছড়ে পড়ার সময়ে এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৫০-১৬০ কিমি। সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৭৫ কিমি।
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ‘মোকা’ জন্ম নেওয়ার পর প্রায় ৭২ ঘণ্টা জলে থাকায় সাগর থেকে সে শক্তিসঞ্চয় করেছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ১৩ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে এগোচ্ছিল ‘মোকা’। তবে তার গতি এখন কিঞ্চিৎ শ্লথ হয়েছে বলে জানা যায়। বর্তমানে পোর্ট ব্লেয়ার বন্দর থেকে ৫৭০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে, বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে ৭৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে এবং মায়ানমারের সিতওয়ে থেকে ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে রয়েছে ‘মোকা’।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’র উল্টো প্রভাব রাজ্যে! দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি!বইবে লু!” width=”789″>
জানা যাচ্ছে, সমুদ্রে থাকাকালীন এই ঝড়ের সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ২১০ কিমি! তাহলে স্থলভাগে কতটা ভয়ানক রূপ দেখাবে এই ঘূর্ণিঝড়, তা নিয়েই চিন্তা। তবে হাওয়া অফিসের আশ্বাস, সেই সময়ে কোনও ভাবেই তার গতিবেগ এত বেশি হবে না। কিন্তু তার গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৬০ কিমি। সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৭৫ কিমি। অর্থাৎ স্থলভাগে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসাবেই আছড়ে পড়বে এটি।