কলকাতা: আরব সাগরে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’। এদিকে প্রায় একই সময় পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং মায়ানমার উপকূলে বঙ্গোপসাগরের উপরেও অবস্থান করছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। এই ঘূর্ণাবর্ত কিন ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে? যদি ঘূর্ণিঝড় হয়, তাহলে কী প্রভাব পড়বে ভারতের উপরে?
প্রায় ৬০ ঘণ্টা ধরে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং মায়ানমারের আরাকান অঞ্চলের উপকূলের কাছে এই ঘূর্ণাবর্তটি অবস্থান করছে। তবে আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আপাতত শক্তি বৃদ্ধি করতে পারছে না এই ঘূর্ণাপবর্তটি। আপাতত মায়ানমার এবং বাংলাদেশ উপকূলের কিছু জায়গায় এই ঘূর্ণাবর্তের কিছুটা প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার মায়ানমার উপকূল লাগোয়া পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর, দক্ষিণ তামিলনাড়ু এবং পশ্চিম শ্রীলঙ্কা লাগোয়া দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ঘণ্টায় প্রায় ৫৫ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বইবে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরের সৃষ্ট এই ঘূর্ণাবর্তের জেরে ঝোড়ো হাওয়া বইবে৷
আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে থাকা এই ঘূর্ণাবর্তটি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে শক্তি বৃদ্ধি করবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে এই শক্তিবৃদ্ধির বিষয়টি নির্ভর করবে আরব সাগরে সৃষ্টি ঘূর্ণিঝড়ের ওপর। কারণ ‘বিপর্যয়ে’র প্রভাবে বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প পশ্চিম দিকে চলে যাচ্ছে। তবে এই ঘূর্ণাবর্তের জেরে বর্ষা আসার আগেই ভিজছে উত্তরপূর্ব ভারত। গত কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাত লক্ষ্য করা গিয়েছে। মৌসম ভবনের সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, ১০ জুন অসম এবং অরুণাচল প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে৷ তার আগে অসম, মণিপুর, মিজোরামেও ভারী বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি গাঙ্গেয় বঙ্গের আকাশও মেঘলা থাকবে। কোনও কোনও জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে।
তবে আরব সাগরের ঘূর্ণিঝড় এবং মায়ানমার উপকূলের ঘূর্ণাবর্তের জোরা দাপটে এখনই দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা আগমনের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হবে না বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যেই উত্তরবঙ্গে বর্ষার আগমন ঘটবে। তবে দক্ষিণবঙ্গে কবে মৌসুমী বায়ু ঢুকবে, তা নিয়ে এখনও কোনও নিশ্চয়তা নেই৷ আপাতত শনিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি থাকবে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>