মাঝ আকাশেই খতম হবে শত্রু বিমান, ‘আকাশ প্রাইম’ মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ করল DRDO

মাঝ আকাশেই খতম হবে শত্রু বিমান, ‘আকাশ প্রাইম’ মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ করল DRDO

চাঁদিপুর:  প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতার পথে আরও এক কদম এগিয়ে গেল ভারত৷ শক্তি পরীক্ষায় সফল দেশ৷ অত্যাধুনিক ‘আকাশ প্রাইম’ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপন করল ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন৷ 

আরও পড়ুন- আয়ুষ্মান ভারত ডিজিটাল মিশনের সূচনা মোদীর, প্রকল্পের সুবিধা জানুন

আগেই নিজের দাপট দেখিয়েছিল আকাশ মিসাইল৷ এবার পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হল ‘আকাশ প্রাইম’৷ সোমবার ওডিশার চাঁদিপুরে ইন্টিগ্রেটেড মিসাইল টেস্ট রেঞ্জ থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়৷ মাঝ আকাশে তৈরি করা লক্ষ্যে অনায়াসে নিশানা করে যোগ্যতার প্রমাণ দেয় আকাশ প্রাইম৷ অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণে ডিআরডিও, ভারতীয় সেনা ও বিমানবাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। অকাশ প্রাইম মিসাইলের মধ্যে রয়েছে অত্যাধুনিক ‘রেডিও ফ্রিকুয়েন্সি সিকার’। যা সহজেই লক্ষ্যবস্তুকে খুঁজে বের করে নিশানা করতে সক্ষম৷ অতি উচ্চতায় কম তাপমাত্রাতেও কাজ করতে সক্ষম এই অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র৷ অ্যাকটিভ রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি অন্যান্য আকাশ মিসাইলে নেই৷

 
মাঝ আকাশে শত্রুপক্ষের বিমান যেভাবে ধাওয়া করে লক্ষ্যভেদ করা হয়, তেমনই নকল নিশানা তৈরি করেছিল ডিআরডিও৷ আর তাতে দারুণ ভাবে সফল আকাশ প্রাইম৷ প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, ‘আকাশ প্রাইম-এর সাফল্য প্রমাণ করে দিল যে ডিআরডিও বিশ্বমানের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে সক্ষম।’’ গবেষক টিমকে সাধুবাদ জানিয়েছে ডিআরডিও-র সেক্রেটারি জি সতীশ রেড্ডি ও সংস্থার চেয়ারম্যান৷ 

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে স্থলসেনা ও বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় আকাশ মিসাইল৷ এটি ব্রহ্মস মিসাইলের মতোই সুপারসনিক। এর সর্বাধিক গতি ২.৫ ম্যাক বা প্রতি ঘণ্টায় ৩০৮৭ কিমি৷ এর মধ্যে রয়েছে পাল্লার মিসাইল৷ যা ২৫ কিলোমিটার দূরে থাকা লক্ষ্যবস্তুকেও সহজে ধ্বংস করতে পারে৷ দিন কয়েক আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে ক্যাবিনেট মিটিংয়ে ‘আকাশ’ মিসাইলের প্রযুক্তি রফতানি করার ক্ষেত্রে শিলমোহর দেওয়া হয়। 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen − ten =