স্ববিবাহ সম্পন্ন, এবার মধুচন্দ্রিমার পালা! কোথায় যাচ্ছেন ক্ষমা?

স্ববিবাহ সম্পন্ন, এবার মধুচন্দ্রিমার পালা! কোথায় যাচ্ছেন ক্ষমা?

ভাদোদরা: এ জগতে নারী-পুরুষের মিলন তো আদি-অনন্ত৷ তবে এরই মাঝে সমকামী প্রেম ও বিবাহের সাক্ষী থেকেছে দেশ-দুনিয়া৷ কিন্তু এমনটা কস্মিনকালেও কেউ দেখেননি৷ এমন অভিঞ্জতা একেবারে প্রথম৷ গুজরাতের তরুণীর  ‘নিজগামিতা’  বা ‘সোলোগ্যামি’ দেখল দেশ৷ একটি বিরল অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকল নেটিজেন৷ 

আরও পড়ুন- স্ত্রীকে খুন থেকে পরকীয়া, সংস্থার নামে ‘জঙ্গল ধ্বংস’, বিতর্কের আরেক নাম সদ্গুরু

গুজরাতের ভাদোদরার বাসিন্দা বছর চব্বিশের  ক্ষমা বিন্দু জানান ১১ জুন স্ববিবাহ করবেন তিনি৷ কিন্তু, নির্ধারিত দিনের আগেই তিনি বিয়ে করে নেন৷ তিনি এটা বুঝে গিয়েছিলেন যে বাধা আসবেই৷ দিন কয়েক আগেই সম্পন্ন হয়েছে তাঁর স্ববিবাহ৷ মনে করা হচ্ছে, রাজনৈতিক সমস্যা এড়াতেই চটজলদি বিয়ে সারেন ক্ষমা৷ তাঁর স্ববিবাহের কথা প্রকাশ্যে আসতেই রুদ্র মূর্তি ধারণ করেছিলেন শাসক দলের এক নেতা৷  সোলোগ্যামির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তিনি। তাঁর দাবি ছিল, স্ববিবাহ হিন্দু ধর্ম বহির্ভূত৷ মন্দিরে বিয়ে করতে গেলে বাধা দেওয়া হবে ক্ষমাকে।

যদিও নিজের সিঁথিতে সিঁদুর পরানোর পর সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্ষমা জানান, তিনি কোনও হুমকি পাননি। তবে শান্তিপূর্ণ ভাবে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন বলেই বিয়ের তারিখ হঠাৎ করে এগিয়ে আনেন। 

বুধবার নিজের বাড়িতেই নিজেকে বিয়ে করেন ক্ষমা বিন্দু। স্ববিবাহ তো কী, নিয়ম মেনেই হয় গায়ে হলুদ, মেহেন্দির অনুষ্ঠান৷ এমনকী মেহেন্দিতে হবু বরের নাম লেখার প্রচলন বজায় রেখেই হাতে নিজের নাম লেখেন ক্ষমা৷ বাকি সব নিয়ম আচার মেনে হলেও এই বিয়েতে ছিলেন না কোনও পুরোহিত৷ একজন পুরোহিত অবশ্য ক্ষমার বিয়ে দেবেন বলে রাজি হয়েছিলেন৷ কিন্তু,  বিতর্ক এড়াতে পরে এই অনুষ্ঠান থেকে তিনি সরে দাঁড়ান৷ তাই মন্ত্রোচ্চারণ ছাড়াই  নিজের সিঁথিতে নিজেই সিঁদুর পরিয়ে দেন ক্ষমা। নিজের গলায় মঙ্গলসূত্র ও বরমালাও পরিয়ে দেন৷ এর পর নিজের সঙ্গেই সাতপাক ঘুরে বিয়ে সম্পন্ন করেন। বিয়ের পর এবার মধুচন্দ্রিমার পালা৷ ভীষণ উৎসাহিত ক্ষমা৷ মধুচন্দ্রিমায় কোথায় যাবেন, সে কথাও ভেবে ফেলেছেন৷ জানা গিয়েছে, নিজেকে নিয়ে গোয়ায় যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে তাঁর।