ইম্ফল: দেখতে দেখতে অন্তত ১ মাস পার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু মণিপুরের পরিস্থিতির কোনও বদল হয়নি। বরং উত্তাপ ক্রমশ বাড়ছে। দফায় দফায় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষ চলছে, ভাঙচুর, আগুন লাগানো, সেনার ওপর আক্রমণ সবই চলছে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে রাজ্যের আম জনতা অসহায়। তারা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বহু অংশ ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ নেই। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। তাই বহু মানুষ এখন রাত জেগে গ্রাম পাহারা দিচ্ছেন। নিজেদের পরিবারের সুরক্ষায় এই অন্য কারোর ওপর ভরসা না করে এই পন্থা বেছে নিয়েছেন তারা। তাদের মধ্যে আছেন জাতীয় দলের প্রাক্তন এক ফুটবলারও।
নয়ের দশকের শেষ পর্বে সবুজ-মেরুন জার্সিতে ময়দান কাঁপিয়েছেন লুকারাম জেমস সিং। খেলেছেন দেশের জাতীয় দলের হয়েও। এখন তিনিই পাহারাদারের ভূমিকায়। হাওবাম মারাক লেইকাই এলাকায় পাহারাদারের দলে স্বেচ্ছায় যোগ দিয়েছেন জেমস। আপাতত তাঁর মূল কাজ হাতে টর্চের আলো নিয়ে রাত জাগা। জানা গিয়েছে, রাজ্যে যে অশান্তির আবহ তৈরি হয়েছে তা গ্রামের দিকেও ছড়িয়ে পড়েছে। এই কারণেই এলাকা রক্ষা করতে হচ্ছে তাদের। সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় চলা অশান্তি এখন তাদের সকলের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে। মাঝে মাঝে দুষ্কৃতীর দল হানা দিচ্ছে, তাই সজাগ থাকতে হচ্ছে সব সময়। এই পরিস্থিতি আরও এক নামকরা ফুটবলারের জীবনে অশনি সঙ্কেত নিয়ে এসেছে। তিনি হলেন হায়দরাবাদ এফসি এবং জাতীয় দলের খেলোয়াড় চিঙ্গলসানা সিং। তাঁর গোটা পাড়া জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। আপাতত যোগাযোগ করা যাচ্ছে না তাঁর সঙ্গেও।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”হাইকোর্টের নির্দেশ কতটা তাৎপর্যপূর্ণ? মনোনয়ন পেশে থানাকে সাহায্য! | bengal panchayat election 2023″ width=”789″>
এমনিতে এখন দলবদলের বাজারে এই ফুটবলারকে নিয়ে চর্চা চলছে। শোনা গিয়েছে, চিঙ্গলসানাকে নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে ইস্টবেঙ্গল। তবে হায়দরাবাদ তাঁকে ছাড়বে কিনা বা ছাড়লেও কত টাকার বিনিময়ে ছাড়বে সেই নিয়ে প্রশ্ন। কিন্তু ফুটবলারের তরফে কিছুই জানান হয়নি এখনও পর্যন্ত। কারণ আলাদা করে বলার দরকার নেই।