নয়াদিল্লি: ভারত ইতিহাস সৃষ্টি করে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান ৩ নামিয়েছিল। তারপর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েক দিন। আপাতত চাঁদে রাত চলছে, চন্দ্রযান ৩-র ল্যান্ডার, রোভার এবং পেলোডগুলি আছে ‘স্লিপ মোডে’। কিন্তু তারা ‘জেগে উঠবে’ বলে প্রথম থেকেই আশাবাদী ইসরো। তবে সেই আশা পূরণ হয় কিনা, তা জানার জন্য আরও দু’দিন অপেক্ষা করতে হবে। অনুমান, আগামী ২২ সেপ্টেম্বর চাঁদে সূর্যোদয় হবে। তখন আবার চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞানকে ‘ঘুম’ থেকে জাগিয়ে তোলার কাজ শুরু করবে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।
চাঁদে নামার ১০ দিনের মাথায় নিজেদের কাজ শেষ করেছিল বিক্রম এবং প্রজ্ঞান। তারপর তাদের ‘স্লিপ মোডে’ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই সময়ের মধ্যে চাঁদের ওই অঞ্চলে তাপমাত্রা কখনও কখনও হিমাঙ্কের ২৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস নীচেও নেমে যায়। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে যে, এত কনকনে ঠান্ডায় চন্দ্রযান ৩ ঠিক থাকবে কিনা। আর দু’দিন পর সেই প্রশ্নের উত্তর মিলবে এবং তা ইতিবাচক হবে বলেই আশা করা হচ্ছে। ইসরো জানিয়েছে, সব যদি ঠিক থাকে, তা হলে আবার রোভার এবং ল্যান্ডারকে কাজে লাগানো শুরু করবে তারা। এখন এটাই দেখার, এতদিন দানবীয় ঠান্ডায় ঘুমিয়ে থাকার পর চন্দ্রযান ৩ চাঙ্গা থাকে কিনা।
চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার এবং রোভার দুটিই সূর্যের আলো থেকে শক্তি সঞ্চয় করে কাজ করে। তাই হিসেব কষে দিনের আলো থাকা অবস্থাতেই চাঁদের মাটিতে অবতরণ করানো হয়েছিল চন্দ্রযানকে। তারপর টানা ১৪ দিন সূর্যের আলো থাকার পর চাঁদে আঁধার নেমে আসে। প্রসঙ্গত, ভারত বিশ্বের প্রথম দেশ যে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মহাকাশ যান অবতরণ করাতে পেরেছে। সেই সঙ্গে চতুর্থ দেশ যারা চাঁদে অবতরণ করতে পেরেছে।