সফলভাবে পরবর্তী প্রজন্মের স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপণ, ISRO-র মুকুটে সাফল্যের নয়া পালক

সফলভাবে পরবর্তী প্রজন্মের স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপণ, ISRO-র মুকুটে সাফল্যের নয়া পালক

শ্রীহরিকোটা: ইসরোর মুকুটে ফের সাফল্যের পালক। সোমবার অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হল নেক্সট জেনারেশন নেভিগেশনাল স্যাটেলাইট। এই স্যাটেলাইট মহাকাশ থেকে রিয়েল টাইম পজিশনিং ও সময় সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করবে। জিএসএলভি রকেটের সাহায্যে পরবর্তী প্রজন্মের নেভিগেশনাল স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপণ করে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। এই স্যাটেলাইটের নাম GSLV NVS-1 নেভিক। পৃথিবীর নিম্নকক্ষে জিওসিনক্রোনাস ট্রান্সফার অরবিটে ২৫১ কিলোমিটার উচ্চতায় জিওসিনক্রোনাস ট্রান্সফার অরবিটে বসানো হয়েছে স্যাটেলাইটটিকে। 

সফল ভাবে উপগ্রহ উৎক্ষেপণের পরই ইসরোর তরফে বলা হয়, “এবার আমাদের কাছে আরও বড় মাপের উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করার ক্ষমতা রয়েছে।” এই স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণ দেশের উপগ্রহ সংক্রান্ত গবেষণা তো বটেই, যোগাযোগ ব্যবস্থাতেও যুগান্তকারী বদল আনতে পারে বলে বিজ্ঞানীদের দাবি৷ বিমান চলাচলের ক্ষেত্রেও এই স্যাটেলাইট সিস্টেম একাধিক কাজে সাহায্য করবে। গতিপথ নিয়ন্ত্রণ, দিকনির্দেশ, সময় নির্ধারণের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ আরও সহজ হবে এই সিস্টেমে৷ 

GSLV’র সমান ওজনের এই অত্যাধুনিক স্যাটেলাইটকে দ্বিতীয় প্রজন্ম বলা হচ্ছে।  উৎক্ষেপণের পর নির্দিষ্ট কক্ষপথে কাজ করতে করতে NVS-1 সৌরশক্তির সাহায্য়ে নিজেই নিজের শক্তি সংগ্রহ করে নেবে এই স্যাটেলাইট। লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি চার্জের পাশাপাশি ২.৪ কিলোভোল্ট শক্তি উৎপন্ন করতেও সক্ষম এই স্যাটেলাইট। বিজ্ঞানীদের মতে, NVS-1 ভারতের উপগ্রহ প্রযুক্তিতে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি সফল হলে অনেক কাজ সহজ হয়ে যাবে।