নয়াদিল্লি: ধারার নাম UAPA। অর্থাৎ দেশদ্রোহীতার মামলা, যার কোপে বার বার পরতে হচ্ছে উপত্যকার সাংবাদিকদের। এবার ইরফান মেহেরাজ। জম্মু-কাশ্মীরের অতি পরিচিত সাংবাদিক ইরফান যিনি নিউজ পোর্টাল- টু সারকেল.নেট এর এডিটর। বহু বছর ধরে সাংবাদিকতার কাজ করছেন ইরফান মেহেরাজ। ৩৭০ ধারা বাতিল হওয়ার পর থেকে কাশ্মীরের অন্যান্য সাংবাদিকদের সঙ্গে এনআইএর নজরে আসেন ইরফান। কিন্তু কেন এই নজরদারি। সাংবাদিকদের উপর কেন এনআইএর কোপ।
এনআইএ সূত্রের খবর, ২০২০ সালের -এনজিও টেরর ফান্ডিং মামলায় অভিযুক্ত ইরফান৷ মেহরাজ মানবাধিকার কর্মী খুররম পারভেজের ঘনিষ্ঠ ও জম্মু-কাশ্মীর কোয়ালিশন অফ সিভিল সোসাইটির হয়ে কাজ করে৷ এই সংস্থাই উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে অর্থ যুগিয়ে থাকে৷ ২০২১ সালেই পারভেজকে গ্রেফতার করে এনআইএ৷
মেহেরাজের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেই তাঁকে গ্রেফতার। দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে আদালাতে মামলা তুলে মেহরাজকে ১০ দিনের হেফাজতে নিয়েছে এনআইএ। এই নিয়ে অন্তত পাঁচ জন কাশ্মীরি সাংবাদিককে গ্রেফতার করল এনআইএ। আর এথানে এনআইএর কার্যকারিতা ঘিরে প্রশ্ন উঠছে।এনআইএর গ্রেফতারির নিন্দা করেছে প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়া।
প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়ার ট্যুইট, সাংবাদিক ইরফান মেহেরাজের উপর ইউএপিএ মামলা লাগু করার বিরোধিতা করছে প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়া। সাংবাদিকদের বাক স্বাধীনতা রুখতে এনাআইএর এই পদক্ষেপ ক্ষমতার অপব্যবহার ছাড়া আর কিছু নয়। মেহেরাজের মুক্তির দাবি জানাচ্ছে প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়া। গ্রেফতারির প্রতিবাদ এডিটরস গিল্ডের ট্যুইট, “প্রশাসনের বিরুদ্ধে সমালোচনামূলক প্রতিবেদনের জন্য সাংবাদিকদের গ্রেফতার চালিয়ে যাচ্ছে এনআইএ”
ইরফান মেহেরাজ, ট্যুইটারে যার ফলোয়ার সংখ্যা চার হাজার। তাঁর নিউজ পোর্টালের ট্যুইটার অ্যাকাউন্টের ফলোয়ার সংখ্যা-১৪ হাজার। মেহেরাজ সামাজিক মাধ্যমে অনেকবার জানিয়েছেন তিনি একজন স্বাধীন সাংবাদিক। যিনি কাশ্মীর, তুরস্ক সম্পর্কে লাগাতার লিখে যান। এর মধ্যে কখনও কখনও তিনি সরকারের বিরোধিতা করেছেন। মোদী-শাহের কাশ্মীর নীতির বিরোধিতা করেছেন । তারপর থেকেই এনআইএর নেক নজরে আসেন মেহরাজ বলে খবর। শুধু তো মেহরাজ নন, গত বছর মোট নয় জন সাংবাদিককে গ্রেফতার করে এনআইএ। প্রশ্ন উঠে, পর্যাপ্ত প্রমাণ পেয়েই কি মেহেরাজকে গ্রেফতার করা হল। উত্তর অধরা।