ভুবনেশ্বর: শুক্রবার সন্ধ্যার সেই আতঙ্ক এখনও তাড়া করে বেরাচ্ছে তাঁদের৷ হালপাতালের বিছানায় শুয়ে সেই বিভীষিকার কথা ভেবে শিউড়ে উঠছেন করমণ্ডল এক্সপ্রেসের চালক। আতঙ্ক যেন পিছু তাড়া করে বেরাচ্ছে৷ ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার কবলে পড়লেও প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন করমণ্ডলের চালক জে এন মোহান্তি এবং সহকারী চালক এইচ বেহারা। আহত অবস্থায় দু’জনেই ভুবনেশ্বরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ওড়িশা টিভি সূত্রে জনা গিয়েছে, অভিশপ্ত করমণ্ডলের চালকের বাঁ পায়ে চিড় ধড়েছে। তাঁর জ্ঞান রয়েছে। তবে অত্যন্ত দুর্বল। মানসিক ভাবেও বিধ্বস্ত৷ তিনি চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। তবে ভালোনেই সহচালক৷ আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন সহকারী চালক এইট বেহারা৷
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে লাইনচ্যুত হয় চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস৷ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসও। দুর্ঘটনার অভিঘাতে লুপ লাইনে থাকা একটি মালগাড়ির কামরার উপর উঠে যায় করমণ্ডলের ইঞ্জিন। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ২৮৮ জনের৷ যদিও রবিবার ওড়িশা সরকারের তরফে জানানো হয়, মৃতের সংখ্যা ২৭৫। দুর্ঘটনায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন করমণ্ডলের দুই চালক। তবে এখনও তাঁরা সম্পূর্ণ বিপদমুক্ত নন৷ হাসপাতালে উদ্বেগেই দিন কাটাচ্ছেন দুই চালকের পরিবার।
এদিকে, করমণ্ডল দুর্ঘটনার তদন্তভার কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার সুপারিশ করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। রেল বোর্ডের সদস্য (অপারেশন) জয়া বর্মা সিন্হা বলেন, ‘‘চালক জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার ঠিক আগে আপ লাইনের সিগন্যাল সবুজ ছিল। কিন্তু গাড়ি লুপ লাইনে ঢুকে পড়ায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রাথমিক মনে করা হচ্ছে চালকের কোনও দোষ নেই।’’
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>