নয়াদিল্লি: গতবার দিল্লি সফরে গিয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি দিল্লি গেলেই সোনিয়ার সঙ্গে দেখা করেন৷ কিন্তু এবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ সারলেও গেলেন না ১০ জনপথে৷ সোনিয়ার জন্য কোনও সময় বরাদ্দই করেননি মমতা৷ যার জেরে প্রশ্ন উঠল বিরোধী ঐক্য নিয়েই৷ তবে এ বিষয়ে মমতার সাফ জবাব, ‘‘ওঁর সঙ্গে প্রতিবারই দেখা করব কেন? এটা সাংবিধানিকভাবে বাধ্যতামূলক নয়।’’
আরও পড়ুন- সিপিএমের ক্যাম্প ভাঙচুর আগরতলায়, নিন্দায় গর্জে উঠলেন বিজেপি বিধায়ক
প্রসঙ্গত, রাজ্য রাজনীতিতে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বারবারই সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল৷ দলীয় মুখপত্রেও কংগ্রেসকে কড়া বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার রাজধানী সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। তাঁর উপস্থিতিতে একাধিক কংগ্রেস নেতাকে দলে যোগদান করিয়েছেন। বৈঠক করেছেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর সঙ্গেও। কিন্তু এড়িয়ে গেলেন সোনিয়াকে৷ এ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, দেখা করতেই হবে, সংবিধানে এমন নিয়ম নেই৷
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যে শেরগোল পড়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। শুরু হয়েছে জল্পনা৷ ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? এদিন সোনিয়া প্রসঙ্গে তিনি স্পষ্ট বলেন, ‘‘আমি সময় নিয়ে শুধুমাত্র এবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। পঞ্জাব নির্বাচনের জন্য সকল নেতারাই ব্যস্ত রয়েছেন। কাজ আগে। কেন প্রত্যেকবার সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে হবে? এটা কখনই সাংবিধানিকভাবে বাধ্যতামূলক নয়।’’
কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সখ্য থাকলেও সম্প্রতি তাতে চিড় ধরেছে৷ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটের পর তৃণমূলের পাখির চোখ এখন দিল্লি৷ সেই লক্ষেই এগিয়ে চলেছে তৃণমূল৷ গতবার দিল্লি গিয়ে মমতা জোট বার্তা দিলেও, সেভাবে সাড়া দেয়নি কংগ্রেস৷ এতেই বেড়েছে দূরত্ব৷ তৃণমূলের উপর বেজায় চটেছে কংগ্রেসও৷ কারণ তৃণমূলে যোগ দেওয়া নেতাদের অধিকাংশই কংগ্রেসের। কিছুদিন আগেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফালেইরিও৷ তালিকায় রয়েছেন অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়, সুস্মিতা দেবের মতো নেতৃত্বরাও৷ তাতে সাম্প্রতিক সংযোজন মুকুল সাংমা৷