বালেশ্বর: শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় ওড়িশার বালেশ্বরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস৷ এখনও পর্যন্ত এই দুর্ঘটনায় ২৮০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে৷ শনিবার কপ্টারে করে ওড়িশার বালেশ্বরে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে পৌঁছে তিনি কথা বলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে৷ পাশাপাশি রেল দুর্ঘটনায় বাংলার নিহত যাত্রীদের পরিবারপিছু ৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। গুরুতর আহতদের ১ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বাংলার মানুষ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। রাজ্যের যাঁরা আহত হয়েছেন, প্রয়োজনে কলকাতায় নিয়ে গিয়ে তাঁদের চিকিৎসা করাব।’’
এদিন রেলমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়েই রেলের কাজে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘রেলের কাজে মনে হয় সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। আরও যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন।’’ বালেশ্বরে পৌঁছনোর পরেই রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণর সঙ্গে দেখা হয় মমতার। কত জনের মৃত্যু হয়েছে, রেলমন্ত্রীর কাছ থেকে তা জানতে চান৷ তিনি জানান, ২৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। অথচ তার বেশ কিছু ক্ষণ আগেই রেলের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ২৬১৷
দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর শুক্রবার রাতেই টুইট করেছিলেন মমতা৷ তিনি লিখেছিলেন, ‘‘শুক্রবার সন্ধ্যায় বালেশ্বরের কাছে একটি পণ্যবাহী ট্রেনের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ থেকে যাত্রিবাহী শালিমার-করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সংঘর্ষ হয়েছে। অনেকেই গুরুতর জখম হয়েছেন। আমাদের রাজ্যের যাত্রীদের জন্য ওড়িশা সরকার এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি। জরুরি ভিত্তিতে কন্ট্রোলরুমও চালু করা হয়েছে।’’
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>