আগরতলা: ত্রিপুরার বিধানসভা ভোটে আবার ‘পদ্মফুল’ ফুটেছে। আর আগেই ঘোষণা হয়ে গিয়েছিল যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন। সেই প্রেক্ষিতেই বুধবার শপথ নেওয়ার কথা ছিল মানিক সাহার। নির্ধারিত দিনেই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দ্বিতীয় বারের জন্য শপথ নিলেন তিনি। এদিন আগরতলায় স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা সহ একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতা।
আরও পড়ুন- তৃণমূলের জাতীয় দলের তকমা বাতিল করা হোক, ৩ রাজ্যের ফল ঘোষণা হতেই খড়্গহস্ত শুভেন্দু
গত বছর জুন মাসে উপনির্বাচনের মতো বড় ব্যবধানে না জিতলেও এই ভোটে জয়লাভ করেছিলেন মানিক সাহা। ওই উপনির্বাচনে টাউন দোয়ালি বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের আশিস সাহাকে ৬ হাজার ১০৪ ভোটে হারিয়েছিলেন তিনি, কিন্তু এই নির্বাচনে আশিসের সঙ্গে মানিকের ব্যবধান কমে দেড় হাজারের নীচে চলে যায়। মাত্র হাজার ভোটের ব্যবধানে মানিকের এই জয় বিজেপির সমর্থন কমার স্পষ্ট ইঙ্গিত৷ তবে এসব নিয়ে ভাবতে রাজি নয় গেরুয়া শিবির। উলটে জানা গিয়েছে, বুধবারই মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে পারেন ৮ জন বিধায়ক। এদিকে নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর বিজেপির বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাস’-এর অভিযোগ তুলে শপথগ্রহণ বয়কট করেছে সিপিএম, কংগ্রেস।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”মেঘালয়: সাফল্যের নেপথ্যে কার কৃতিত্ব? TMC’s performance in Tripura-Meghalaya Assembly elections” width=”835″>
আসলে বাংলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপি যা যা অভিযোগ করে, সেই অভিযোগই উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে ত্রিপুরাতে। বিরোধীদের দাবি ছিল, বাড়ি থেকে শুরু করে পার্টি অফিস জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, মুহুর্মুহু চলছে নৃশংস অত্যাচার। এদিকে মানবাধিকার কমিশন এবং গোয়েন্দা সংস্থারা চুপ করে আছে। তৃণমূল তাঁদের টুইটার হ্যান্ডেলে ভিডিও শেয়ারও করেছিল এই নিয়ে।
