নয়াদিল্লি: দেশের নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে ‘রাষ্ট্রপত্নী’ সম্মোধন রাজ্য প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর। আর তার জেরেই ফের সংসদে বিপাকে পড়ল কংগ্রেস। জানা যাচ্ছে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর এহেন মন্তব্যে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই উত্তাল সংসদ। কংগ্রেস নেতা রাষ্ট্রপতিকে অপমান করেছেন এবং অবিলম্বে তাঁর নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া উচিত, এই দাবি করে এদিন সকাল থেকেই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি বাহিনী। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভাইরাল হয়েছে অধীরের বক্তব্য। সবে মিলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ‘রাষ্ট্রপত্নী’ ইস্যুতে কার্যত তোলপাড় জাতীয় রাজনীতি।
ঘটনার সূত্রপাত বুধবার বিকেলে। এদিন যখন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর ইডি দফতরে হাজিরা বিরোধিতা করে সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কংগ্রেস সাংসদরা তখনই অধীর চৌধুরী সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একবার ভুল করে রাষ্ট্রপতির জায়গায় দ্রৌপদী মুর্মুকে ‘রাষ্ট্রপত্নী’ বলে সম্বোধন করেন। তাঁর সেই মন্তব্যই ভাইরাল হয় বৃহস্পতিবার সকালে ও এই ইস্যুকে সামনে রেখেই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরব হয় বিজেপি।
এদিন সকালে বিজেপি সাংসদরা দাবি করেন, কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী সংসদে ‘সেক্স পলিটিক্স’ করছেন। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, ‘দেশ যখন রাষ্ট্রপতি পদে একজন আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত মহিলাকে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা সেই সময়েই অধীর চৌধুরীর মত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে অত্যন্ত অসম্মান করেছেন। কংগ্রেস নেতার এই মন্তব্য রীতিমত ‘যৌন গন্ধী’।
অন্যদিকে অধীর চৌধুরী বিপাকে পড়ায় ইতিমধ্যেই তাঁকে এবং দলকে রক্ষা করতে মুখ খুলেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। এই প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার সোনিয়া বলেন, ‘অধীর চৌধুরী যা বলেছেন তা ভুল এবং ইতিমধ্যেই তিনি তার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। এই নিয়ে অযথা রাজনীতি রাজনীতি খেলা বন্ধ হোক।’