নয়াদিল্লি: ভারতের বিজ্ঞানচর্চা নিয়ে গোটা বিশ্ব আরও আলোচনা করছে চন্দ্রযান ৩-র সফলতার পর। বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদে গিয়েছে ভারত, প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করেছে। এই নিয়ে দেশবাসীর গর্বের শেষ নেই। কিন্তু ইসরোর এই সাফল্যের পর বিজেপি-ঘনিষ্ঠ হিন্দুত্ববাদী সংগঠন থেকে যে দাবি করা হচ্ছে বা যে নিদান দেওয়া হচ্ছে, তা আগামী ভবিষ্যতের জন্য দেশকে আরও পিছিয়ে দেবে কিনা, তা নিয়ে আলাদা চর্চা হতেই পারে। কারণ, চাঁদকে হিন্দুরাষ্ট্র বলে ঘোষণা করার দাবি উঠেছে! শুধু তাই নয়, রাষ্ট্রপুঞ্জকেও এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার দাবি।
বিজেপি-ঘনিষ্ঠ হিন্দুত্ববাদী সংগঠন হিন্দু মহাসভার নেতা ও স্বঘোষিত ধর্মগুরু চক্রপাণির দাবি, অন্য কোনও ধর্মের লোকজন ঘাঁটি গেড়ে বসে ‘জেহাদ’ করার আগেই চাঁদকে হিন্দুরাষ্ট্র ঘোষণা করতে হবে। একই সঙ্গে চাঁদের রাজধানী করতে হবে ‘শিবশক্তি পয়েন্ট’কে, যে নামকরণ শনিবারই করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে এখানেই থেমে যাননি ওই স্বঘোষিত ধর্মগুরু। তার আরও বক্তব্য, চাঁদকে সনাতন হিন্দুরাষ্ট্র ঘোষণা করতে এবং শিবশক্তিকে তার রাজধানী করা নিয়ে প্রস্তাব আনুক রাষ্ট্রপুঞ্জ। চক্রপাণির এই দাবি নিয়ে এখন সব মহলে আলোচনা। রাজনৈতিক স্তরে তো বটেই, সাধারণ মানুষও তার এই ‘নিদান’ নিয়ে হতভম্ব হয়েছেন।
রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, চলতি বছরে একাধিক রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন এবং আসন্ন ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসরোর বিজ্ঞানীদের থেকেও চন্দ্রযান ৩-র সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেই বেশি কৃতিত্ব দিতে মাঠে নেমে পড়েছে বিজেপি। তাকে বিশ্বগুরু বা মহান বিজ্ঞানী বলতেও কেউ কেউ ছাড়ছে না। বিরোধীরাও স্পষ্ট বলছেন, এর পিছনে ভোটের অঙ্ক রয়েছে।