নয়াদিল্লি: বিজেপি শিবির বা কোনও স্থানীয় গেরুয়া নেতা এমন দাবি করলে তা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হতেই পারত। বিরোধীরা এই ইস্যু নিয়ে তোলপাড় শুরু করত। কিন্তু নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে এই দাবি করেছেন খোদ নোবেল কমিটির এক শীর্ষ নেতা। তাই বিষয়টি নিয়ে এখন আলোচনা তুঙ্গে। তাহলে কি আগামী দিনে নোবেল শান্তি পুরস্কার পেতে পারেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী? সেই প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই উঠছে। কারণ নোবেল কমিটির ওই কর্তা মনে করছেন, তিনিই শান্তিতে নোবেল পাওয়ার সবথেকে বড় দাবিদার।
আরও পড়ুন- ‘আমার একমাত্র ভুল সিএ হওয়া’, আক্ষেপ কেষ্টর হিসাবরক্ষক মণীশের, স্বামীকে জড়িয়ে কাঁদলেন স্ত্রী
নোবেল কমিটির উপনেতা অ্যাসলে তোজে সম্প্রতি এমন দাবি করেছেন। তাঁর কথায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে কোনও দুটি দেশের মধ্যে যুদ্ধ থামিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। গোটা বিশ্বের কাছে তিনি একজন বিশ্বস্ত মুখ। তাই যোগ্য নেতা হিসেবেই তিনি আগামী দিনে নোবেল শান্তি পুরষ্কার পেতে পারেন। এখানেই মোদীর প্রশংসা করা থামাননি তিনি। অ্যাসলে আরও বলেন, নরেন্দ্র মোদীর নীতির জেরেই ভারত আজ সমৃদ্ধ এবং শক্তিশালী। তিনি এখন সমগ্র বিশ্বের কাছে শান্তির সবচেয়ে বড় প্রতীক। এখন প্রশ্ন হল নরেন্দ্র মোদীর পক্ষে আদৌ নোবেল পুরষ্কার পাওয়া সম্ভব কিনা।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”‘সুপারহিরো’র মতো আকাশে উড়বে ভারতীয় সেনা! Indian Army to be equipped with jetpack suits” width=”853″>
নোবেল প্রাপকদের দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়। এদিকে নোবেল কমিটির উপনেতা অ্যাসলে তোজে স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, মোদী সম্পর্কে তিনি যা মন্তব্য করেছেন তা একদমই ব্যক্তিগত মতামত। তিনি নিজে মোদীর অনুরাগী। তাই বলে নরেন্দ্র মোদীর পক্ষে নোবেল পাওয়া যে একদম সহজ এমনটা নয়। তবে একটা বিষয় ঠিক, এই ইস্যুর জন্য বিজেপি বিরোধীদের বিরুদ্ধে বড় হাতিয়ার পেয়ে গেল। গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে এমনিতেই ‘গণতন্ত্র হত্যার’ অভিযোগ তোলা হয়। এই দাবির পর তা কতটা আর কাজ করবে সেটাই দেখার।