জীবন বাজি রেখে আগুন থেকে শিশুকে বাঁচালেন পুলিশকর্মী, কুর্নিশ জানাল নেটিজেনরা

জীবন বাজি রেখে আগুন থেকে শিশুকে বাঁচালেন পুলিশকর্মী, কুর্নিশ জানাল নেটিজেনরা

জয়পুর: গোষ্ঠী সংঘর্ষের আগুনে দাউ দাউ করে জ্বলছে দুটি দোকান৷ সেই আগুন ছড়িয়ে পড়েছে পিছনের একটি বাড়িতেও৷ সেখানে আটকে পড়েছেন বেশ কয়েকজন মহিলা৷ ভেসে আসছে আর্তনাদ৷ ক্রমাগত কেঁদে চলেছে একটি শিশু৷ সেই কান্না শুনে আর নিজেকে আটকে রাখতে পারেননি তিনি৷ নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েই আগুনের ভিতর ঝাঁপিয়ে পড়েন৷ কোলে জড়িয়ে শিশুটিকে বিপদের মুখ থেকে বার করে আনেন রাজস্থান পুলিশের কনস্টেবল নরেশ শর্মা। তাঁর সেই মানবিক মুখের ছবি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ তাঁর এই বীরত্বকে কুর্নিশ জানিয়েছে গোটা দেশ৷ 

আরও পড়ুন- চলতি মাস থেকেই পকেটে পড়বে টান, খারাপ খবর দিল রেল

ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল একটি শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে৷ হিন্দু নববর্ষ নব সম্বৎসর উপলক্ষে বাইক নিয়ে শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। একটি মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় সেই শোভাযাত্রা পৌঁছতেই শুরু হয় সংঘর্ষ। অভিযোগ, ওই শোভাযাত্রায় পাথর ছোড়া হয়৷ চলে ইট বৃষ্টি৷ এর পরেই দু’পক্ষের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজস্থানের করৌলী৷ আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় স্থানীয় দোকানে৷ সেখান থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে কয়েকটি বাড়িতেও৷ এই ঘটনায় সোমবার ৪৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত জনকে আটক করা হয়েছে৷ 

এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন পুলিশ কনস্টেবল নরেশ শর্মা। তিনি দেখেন, দুটি দোকানের মাঝে একটি বাড়িতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে৷ বাড়ির ভিতরে আটকে পড়েছেন মহিলারা৷ এক মহিলার কোলে আবার একটি শিশু৷ তা দেখে আর স্থির থাকতে পারেননি নরেশ৷ তিনি আগুনের মধ্যে দিয়েই ছুটি যান৷ শিশুটিকে বুকে জড়িয়ে সেখান থেকে বার করে আনেন৷ আটকে পড়া মহিলাদের বলেন, তাঁকে অনুসরণ করে বেরিয়ে আসতে। 

রাজস্থান পুলিশ তাদের পোর্টালে নরেশের সেই ছবি পোস্ট করেছেন। যা দেখার পর উচ্ছ্বসিত নেট নাগরিকেরা। তাঁকে বিশেষ পুরস্কারে সম্মানিত করার দাবিও জানিয়েছেন অনেকে৷ যদিও নরেশের বক্তব্য, ‘‘আমি শুধু আমার দায়িত্বটুকু পালন করেছি।’’