করোনার নতুন ভেরিয়েন্টের সন্ধান, অ্যাকটিভ কেস নিয়েও বাড়ছে চিন্তা

করোনার নতুন ভেরিয়েন্টের সন্ধান, অ্যাকটিভ কেস নিয়েও বাড়ছে চিন্তা

নয়াদিল্লি: দুয়ারে করোনার চতুর্থ ঢেউ। দেশে করোনার বাড়বাড়ন্ত দেখে এখন এই একটাই আশঙ্কার কথা শোনাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে বাড়তে থাকা করোনার সংক্রমণ নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ, আশঙ্কা। আর এই আবহেই এবার এক উদ্বেগজনক দাবি করলেন ইজরায়েলের বিজ্ঞানী। জানা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের ১০টি রাজ্যে করোনাভাইরাসের নয়া রূপ বিএ.২.৭৫ ধরা পড়েছে। করোনার এই নয়া রূপে পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৩। মহারাষ্ট্রে সংক্রমিত হয়েছেন ২৭ জন। এমতাবস্তায় দেশে করোনার মোট আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও প্রায় প্রতিনিয়তই বাড়ছে উদ্বেগ। যদিও কেন্দ্রের দাবি এই মুহূর্তে করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্কের কোন কারণ নেই। কিন্তু দিন দিন যেভাবে দেশের সংক্রমণের হার এবং অ্যাক্টিভ কেস তথা সক্রিয় রোগের সংখ্যা লাগামছাড়া হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে করোনা নিয়ে চিন্তা কোনভাবেই ঝেড়ে ফেলতে পারছেন না চিকিৎসক মহল। তবে মঙ্গলবার সকালের রিপোর্ট অনুযায়ী দেশে আগের দিনের থেকে বেশ কিছুটা কমেছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। হিসাব বলতে গত একদিনে দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৮৬ জন। আগের দিনের থেকে যা অনেকটাই কম। তবে এ দিনও বেশ কিছুটা বেড়েছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। কেন্দ্রের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী গত একদিনে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা আরও ৬১১ বেড়ে এই মুহূর্তে দেশের ক্টিভ কেস দাঁড়িয়ে রয়েছে ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৪৭৫ এ।

 অন্যদিকে এদিনও দেশে করোনার বলি হয়েছেন আরো ১৯ জন। মৃতদের মধ্যে তিনজন মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা, দুজন কেরলের বাসিন্দা, দুজন রাজস্থানের বাসিন্দা, দুজন পাঞ্জাবের বাসিন্দা এবং একজন করে মৃত্যু হয়েছে বিহার, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক, গুজরাট, জম্মু-কাশ্মীর, ঝাড়খন্ড, গোয়া এবং মিজোরামে। পাশাপাশি এখনো দেশের মোট সুস্থতার হার নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। কেন্দ্রের হিসাব অনুযায়ী গত একদিনে দেশে করোনামুক্ত হয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন মাত্র ১২ হাজার ৪৫৬ জন। বিশেষজ্ঞ মহলের দাবী যে হারে দেশের সক্রিয় রোগের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সুস্থতার হার উত্তরোত্তর কমছে তাতে আগামীতে পরিস্থিতি আরো জোরালো হতে পারে। প্রসঙ্গত এই মুহূর্তে দেশে সুস্থতার হার দাঁড়িয়ে রয়েছে ৯৮.৫ শতাংশে। গত সপ্তাহতেও এই সুস্থতার হার  ৯৮.৬ থেকে ৯৮.৮-এর আশেপাশে ঘোরাফেরা করেছে।

তবে দেশের করোনা পরিস্থিতি যাই হোক না কেন এই মুহূর্তে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে নারাজ ভারতের চিকিৎসক মহল। আইসিএমআর-এর বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, যেকোনো ভাইরাস যখনই নিজেদের পরিবর্তন করে তখনই নতুন ভেরিয়েন্টের উৎপত্তি হয়। আর ভাইরাসের নিজেকে পরিবর্তনের ঘটনা খুবই স্বাভাবিক। এর মধ্যে আশ্চর্য হওয়ার কোন বিষয় নেই। আর তাই এই মুহূর্তে এই নতুন ভ্যারিয়েন্টকে নিয়ে চিন্তা করারও কোনো কারণ নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 − two =