মুম্বই: বিজেপির হাত ছেড়ে যখন কংগ্রেস ও ন্যাশানাল কংগ্রেস পার্টির হাত ধরে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করেছিল শিবসেনা তখনই ভারতীয় জনতা পার্টির ভবিষ্যৎ বাণী ছিল এই জোট বেশিদিন টিকবে না। এবার এনপিআর ইস্যুতে সেই দুই জোট সঙ্গীর সঙ্গেই জোরদার বিরোধিতার চিত্র প্রকাশ্য এল। এনসিপি, আইএনসি-র বিরোধিতায় আমল না দিয়েই আগামী পয়লা মে থেকে মহারাষ্ট্রে ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার (এনপিআর) প্রক্রিয়া শুরু করার দিনক্ষণ স্থির করে ফেললেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।
বর্ষা গোয়ারেকর মতো কংগ্রেসের মন্ত্রীরা সহ সিনিয়র নেতারা মহারাষ্ট্রে এনপিআর শুরুর তীব্র বিরোধিতা করলেও শিবসেনা এর পক্ষে ছিলেন না বলেই জানা গেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি, যা ত্রি-দলীয় মহা বিকাশ আগ্রাদি সরকারের অন্তর্ভুক্ত, এই ইস্যুতে তার বিকল্পগুলি বিবেচনা করছে। এদিকে এনসিপি-র অন্তর্ভুক্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখও মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের বলেছেন যে তাঁর দল রাজ্যে এনপিআর শুরু হওয়া আটকাতে আইনি পরামর্শ নিচ্ছে।
তবে যে যাই বলুক তাতে মাথা না ঘামিয়ে এনপিআর নিয়ে শীঘ্রই একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করবে মহারাষ্ট্র সরকার। তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করার জন্য কর্মী মোতায়েনের প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে যাবে শীঘ্রই বলে জানিয়েছে, ”শুমারি কমিশনার কার্যালয়ের এক সূত্র । বিজ্ঞপ্তিটি রাজ্য সরকারের সাধারণ প্রশাসন বিভাগ দ্বারা জারি করা হবে। ১৫ জুনের মধ্যেই প্রক্রিয়া শেষ করতে চাইছেন ঠাকরে। কংগ্রেস এবং অন্যান্য বিরোধী দল দ্বারা শাসিত বেশ কয়েকটি রাজ্য যখন ইতিমধ্যেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধকের বিরোধিতা করে প্রস্তাব পাস করেছে, তখন মহারাষ্ট্র সরকারের জোট হিসেবে কংগ্রেসের এই বিরোধিতা কার্যত বিফলে যেতে চলেছে। এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার স্পষ্টতই জানিয়েছেন যে এনপিআর-এর বিরোধিতায় গৃহীত চরম সিদ্ধান্ত জোটের তিনটি দলকে মানতেই হবে।
এদিকে এনপিআর-এর পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় এনআরসি-র বিরোধিতায় অনড় সেনা প্রধান। সেক্ষেত্রে নাগরিকপঞ্জির তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে কোনো নথি দেখতে চাওয়া হলে তার দেখাতে পারবেন না মহারাষ্ট্রের সাধারণ মানুষ।