আইসিইউ বেডের অভাবে রাস্তাতেই মৃত্যু এক এনএসজি কমান্ডারের

আইসিইউ বেডের অভাবে রাস্তাতেই মৃত্যু এক এনএসজি কমান্ডারের

 
নয়াদিল্লি: এবার আইসিইউ বেডের অভাবে রাস্তাতেই প্রাণ হারালেন এক এনএসজি কমান্ডার। করোনার থাবায় এনএসজিতে এটাই প্রথম মৃত্যু৷ বুধবার ৫৩ বছরের এনএসজি কমান্ডারের মৃত্যু হয়৷

২২ এপ্রিল বিকে ঝা নামের সেই এনএসজি কমান্ডার করোনা আক্রান্ত হয়ে গ্রেটার নয়ডায় সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্স হাসপাতালে ভর্তি হন। প্রথম ১২ দিন তাঁর শারীরিক অবস্থা ঠিকই ছিল। কিন্তু ৪ মে সন্ধের পর থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। কমতে থাকে তাঁর অক্সিজেন লেভেল৷ কিন্তু সেসময় সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্স হাসপাতালের আইসিইউর ভেন্টিলেটর কাজ করছিল না৷ সেখানকার চিকিৎসকরা তাঁকে দ্রুত আইসিইউতে স্থানান্তর করার পরামর্শ দেন৷ এর পরই দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালে আইসিইউ বেডের খোঁজ শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে  অন্য একটি হাসপাতালে তাঁর জন্য একটি বেডের ব্যবস্থা করা হয়৷ একজন উচ্চপদস্থ এনএসজি অফিসার বলেন, ‘অনেক খোঁজার পর নয়ডার একটি বেসরকারি হাসপাতালে একটি আইউসিইউ বেডের সন্ধান পাওয়া যায়৷ কিন্তু কার্ডিয়াক অ্যাম্বুল্যান্স খুঁজে বের করে সেখানে তাঁকে স্থানান্তর করতে অনেক দেরি হয়ে যায়৷ অবশেষে এনএসজির একটি কার্ডিয়াক অ্যাম্বুল্যান্স এসে পৌঁছয়৷ কিন্তু কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ায় ততক্ষণে ওই কমান্ডারের শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়৷’

বিকে ঝা এনএসজিতে প্রশাসনিক শাখায় কাজ করতেন, কমব্যাট শাখায় ছিলেন না৷ তিনি বিহারের ১৯৯৩ ব্যাচের বিএসএফ ক্যাডারের অফিসার ছিলেন৷ ২০১৮ সালে তিনি এনএসজিতে যোগ দেন৷ এনএসজির তথ্য অনুযায়ী, সোমবার পর্যন্ত ৪৩০ জন কমান্ডার কোভিড ১৯-এ সংক্রমিত হয়েছেন এবং এঁদের মধ্যে ৫৯ জন অ্যাক্টিভ৷ ইতিমধ্যেই অনেকে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যাঁদের কাঁধে, তাঁদেরই যদি এমন অবস্থা হয়, তা হলে সাধারণ মানুষের কী হবে? এমনিতেই সেনা জওয়ানদের চিকিৎসা পরিষেবায় বিশেষ ব্যবস্থা থাকে সরকারের তরফে। কিন্তু দেশে করোনার দাপটে এখন রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় হাসপাতালের বেডের আকাল দেখা দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × 4 =