নয়াদিল্লি: অর্থ তছরুপ মামলায় গ্রেফতার করতেই পারে ইডি, সম্প্রতি এমনই রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু এই রায় নিয়ে এখন প্রশ্ন তুলে দিয়েছে দেশের বিরোধী দলগুলি। তাদের আশা, এই রায় খুব বেশি দিন কার্যকর হবে না। বিরোধীরা আসলে মনে করছে ইডির ক্ষমতা বাড়ানো নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের এই রায় ‘বিপজ্জনক’ হতে পারে ভবিষ্যতে। তাই এই নির্দেশ জারি থাকুক তা চাইছে না তাঁরা কেউই।
আরও পড়ুন: প্রায় ৬ লক্ষ আধার নম্বর বাতিল! আপনারটা হল না তো
সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের বিরোধিতায় ইতিমধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস, শিবসেনা, আপ-সহ সতেরোটি বিরোধী দল বিবৃতি প্রকাশ করেছে। এই রায় পর্যালোচনা করার আবেদন জানিয়েছে তাঁরা দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে। বিরোধী দলগুলির আশঙ্কা, দীর্ঘমেয়াদি ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের এই রায় বড় প্রভাব ফেলতে পারে দেশে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিরোধীরা প্রথম থেকেই অভিযোগ তুলে আসে যে বিজেপি সরকার কেন্দ্রীয় এই এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে বিরোধী শক্তিকে চাপে রাখার চেষ্টা করে। আর দেশের শীর্ষ আদালতের এই রায় সেই ক্ষেত্রেই আরও প্রভাব বৃদ্ধি করবে। সেই কারণেই বিরোধীরা চায় না, এই রায় কার্যকর থাকুক।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, আর্থিক তছরুপের মামলায় (পিএমএলএ) এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) গ্রেফতার, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত বা তল্লাশি চালাতে পারবে। রায়ের প্রেক্ষিতে যে কোনও জায়গায় তল্লাশি, বাজেয়াপ্ত এবং গ্রেফতার করার ক্ষেত্রে ইডির আর কোনও বাধা নেই। পিএমএলএ আইনের আওতায় ইডির ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা হয়েছিল। তার বেশির ভাগই গত বুধবার খারিজ হয়ে গিয়েছে বিচারপতি এএম খানউইলকরের বেঞ্চে। মামলাকারীর বক্তব্য ছিল, ব্যক্তিকে গ্রেফতারির কারণ না জানিয়ে গ্রেফতার করা সাংবিধানিক নয়। কিন্তু আদালত এমনটা মনে করছে না। তবে বিগত অনেক বছরে ইডির তদন্ত এবং গ্রেফতারির ‘রেকর্ড’ যে খুব একটা ভাল নয়, তা সংসদে কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্যেই প্রকাশ পেয়েছে।
