নয়াদিল্লি: বুধবার লোকসভার পর বৃহস্পতিবার রাতে রাজ্যসভাতেও পাশ হয়ে গেল নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রস্তাবিত মহিলা সংরক্ষণ বিল। আর সঙ্গে সঙ্গে তৈরি হল এক নতুন ইতিহাস। এই বিল পাশ হওয়ার অর্থ, এবার থেকে লোকসভায় ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য। এর আগে বহুবার এই বিল নিয়ে নানা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আবহ তৈরি হলেও শেষমেষ সাফল্য আসেনি। মোদী সরকারের আমলে তা এল। আর অবশ্যভাবেই বিল ইস্যুতে উচ্ছ্বসিত খোদ প্রধানমন্ত্রী।
এদিন মোদী বলেন, দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে দেশের নাগরিকরা এই বিলের অপেক্ষা ছিল। সেই স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। এটা গোটা দেশের জন্য একটা বিশেষ সময়। নারী শক্তি বন্ধন অধিনিয়ম কোনও সামান্য আইন নয়, এটা নতুন ভারতের নতুন সূচনা। আর তিনি এও দাবি করেন, মহিলাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের যে গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছিল, তার প্রমাণ এই বিল। একই সঙ্গে নরেন্দ্র মোদী এও জানান, বিজেপি তিন দশক ধরে এই বিল আইনে পরিণত করার চেষ্টা করছিল। আজ তাতে সফল হয়েছে।
মনে রাখতে হবে, ১৯৯৬ সালে লোকসভায় প্রথমবার মহিলা সংরক্ষণ বিল পেশ করেছিল এইচ ডি দেবগৌড়া সরকার।তার পর প্রায় ২৭ বছর অতিক্রান্ত। দেবগৌড়ার পর ইন্দ্রকুমার গুজরাল, অটলবিহারী বাজপেয়ী এবং মনমোহন সিং জমানাতেও মহিলা সংরক্ষণ বিল লোকসভায় পেশ করে তা পাশ করার চেষ্টা হয়েছে। ২০১০ সালে মনমোহন সিং সরকার অবশ্য রাজ্যসভায় বিলটি পাশ করাতে সফল হয়েছিলেন। কিন্তু লোকসভায় বিলের পক্ষে দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন না মেলায়, তা সম্ভব হয়নি৷ উল্লেখ্য, এই বিলের পক্ষে রাজ্যসভায় ভোট পড়েছে ২১৫টি৷ বিপক্ষে শূন্য! অন্যদিকে লোকসভায় বিলের পক্ষে ভোট পড়েছিল ৪৫৪, আর বিপক্ষে মাত্র ২।