এমন সংকট আমরা কখন দেখেছি না শুনেছি: মোদি

এমন সংকট আমরা কখন দেখেছি না শুনেছি: মোদি

নয়াদিল্লি: করোনা আবহে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ সতর্ক থেকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করারও বার্তা দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি৷

আজ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘একটি ভাইরাস গোটা বিশ্বকে তছনছ করে দিয়েছে৷ এই একটা ভাইরাস জীবন বাঁচানোর জন্য লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে৷ সবাই এখন জীবন বাঁচানোর যুদ্ধে নেমে পড়েছেন৷।  এরকম সংকট আমরা কখন দেখেছি না শুনেছি৷’’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen + 15 =

দেশজুড়ে আগামী ৩ সপ্তাহ লকডাউন ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী

দেশজুড়ে আগামী ৩ সপ্তাহ লকডাউন ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী

3 stocks recomended

নয়াদিল্লি:  দেশ জুড়ে নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে। মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে দেশজুড়ে আগামী তিন সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত এই লকডাউন জারি থাকবে।

গত ২১ মার্চ 'জনতা কার্ফু' সফল করার জন্য দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।

ভাষণে প্রধানমন্ত্রীর মূল বক্তব্য ছিল —

*বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।
* জীবন বাঁচাতে যা যা প্রয়োজন তাকেই সবার আগে প্রাধান্য দেব।
* গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ইতিমধ্যেই  পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং আগামী দিনে আরো পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
*২১ দিনের লকডাউন দীর্ঘ সময়, কিন্তু আপনাদের জীবন আমাদের কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমার বিশ্বাস প্রত্যেক ভারতবাসী সরকারের নির্দেশ মেনে চলবেন। আশাকরি খুব শীঘ্র এই সঙ্কট কাটিয়ে বেরিয়ে আসতে পারব আমরা।
* এই লকডাউন জনতা “কার্ফুর থেকেও” আরও কঠোরভাবে বাধ্যতামূলক হবে।
* দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নয়, আপনাদের পরিবারের এক জন সদস্য হিসাবে এমন অনুরোধ করছি। এই কদিন বাইরের জীবন ভুলে যান।
*আপনাদের কাছে অনুরোধ, এই সময় যে যেখানে রয়েছেন, সেখানেই থাকুন।
* প্রত্যেক ভারতীয়, প্রত্যেক পরিবারকে বাঁচানোই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।
* কিছু মানুষের ভুল সিদ্ধান্তের ফলে বহু মানুষের জীবনে বিপদ ডেকে আনতে পারে।
* কিছু মানুষ ভাবছেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা শুধুমাত্র আক্রান্তদের জন্যই প্রয়োজন। এই ধারণা ভুল। প্রত্যেক পরিবারের জন্য এই দূরত্ব প্রয়োজন।
*এমন দায়িত্বহীনতা চলতে থাকলে, ভারতকে এর চরম মূল্য চোকাতে হবে। কী ক্ষতি হবে তা অনুমানও করতে পারবেন না।
* করোনা থেকে বাঁচার আর কোনও উপায় নেই।
* বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বিশ্বব্যপী মহামারী থেকে রক্ষা পাওয়ার একটাই উপায়, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা।
* করোনাভাইরাস এত দ্রুত হারে বাড়ছে, যে সবরকম ব্যবস্থা সত্ত্বেও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না বিশ্বের তাবড় দেশ।
* আপনাদের বাড়ির দরজার বাইরে লক্ষ্ণণরেখা টানা হল। মনে রাখবেন, তার বাইরে পা রাখলেই করোনার মতো মহামারীকে বাড়িতে ডেকে আনবেন।
* দেশের যা পরিস্থিতি, তাতে এই পদক্ষেপ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
* ১৫ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ থেকে আইসোলেশশন বেড, আইসিইউ, ভেন্টিলেটরের সংখ্যা বাড়ানো যাবে। এরই সঙ্গে মেডিক্যাল এবং প্যারামেডিক্যাল প্রশিক্ষণের কাজও গতি পাবে।
* দেশের দরিদ্র মানুষের জীবনে এই পরিস্থিতি ভীষণভাবে প্রভাব ফেলছে। তাদের দুর্দশা হ্রাস করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার।
* আপনাদের কাছে অনুরোধ, এই সঙ্কটের সময় ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনও ওষুধ খাবেন না। আমার বিশ্বাস প্রত্যেক ভারতীয়, সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশ মেনে চলবেন।
*এই সঙ্কটের সময় নানারকম গুজবও ছড়াচ্ছে। এই ধরনের গুজব এবং কুসংস্কার এড়িয়ে চলুন। শুধুমাত্র কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের নির্দেশ মেনে চলুন।
*এই সঙ্কটের সময়ে সব রাজ্যগুলিকে স্বাস্থ্য পরিষেবাকেই প্রাধান্য দিতে হবে।
* করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলি নিরন্তর কাজ করে চলেছে। আপনারা যাতে সব জরুরি পরিষেবা পান, তা সুনিশ্চিত করতে একজোট হয়ে কাজ করছেন সকলে।
* আপনাদের কাছে হাতজোড় করে প্রার্থনা করছি, জীবন বাজি রেখে যাঁরা কাজ করে চলেছেন, সেই ডাক্তার, নার্স, প্যারামেডিক্যাল কর্মী, হাসপাতাল কর্মী, অ্যাম্বুলেন্স চালকদের জন্য প্রার্থনা করুন।
* আপনাদের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দিচ্ছেন সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা। পরিবার-পরিজন ছেড়ে রাস্তায় নেমে কাজ করছে পুলিশ। আপনাদের রাগ-অভিমান সহ্য করছেন। তাঁদের কথা ভাবুন।
* যাঁরা সাফাইয়ের কাজে যুক্ত, তাঁদের জন্য প্রার্থনা করুন।
* ভারত এখন এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে যেখানে আমাদের সকলকে সংযম বজায় রাখার সঙ্কল্প নিতে হবে। প্রাণ থাকলে তবেই দেশ থাকবে। যত দিন দেশ লকডাউন থাকবে তত দিন এই সঙ্কল্প নিয়ে চলতে হবে।
*করোনা থেকে বাঁচার একটাই উপায়, লক্ষ্মণরেখা পার করবেন না।
*চিন, রাশিয়া, ফ্রান্স, ইটালি- সহ এই দেশগুলির স্বাস্থ্য পরিষেবা অত্যন্ত উন্নত। তা সত্ত্বেও করোনার মোকাবিলা করতে পারেনি তারা। এই পরিস্থিতিতে উপায় কি? একটাই উপায়, যাঁরা করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে পেরেছেন তাঁদের থেকে শিক্ষা নেওয়া। ওই সব দেশে সরকারের কথা শুনে বাড়ির বাইরে বেরোননি সাধারণ মানুষ। আমাদেরও তা মেনে চলতে হবে।
* সারা বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষে পৌঁছতে ৬৬ দিন লেগেছিল। তার পর ১১ দিনে সংখ্যাটা বেড়ে ২ লক্ষ দাঁড়ায়।
* করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিকে শুরুতে দেখলে বোঝাই যায় না। তাই বাড়িতে থাকুন। কেউ রাস্তায় বেরোবেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

7 − four =

২১ দিনের লকডাউন: ন্যূনতম অর্থ, খাদ্যের ব্যবস্থা কেন হল না? উঠছে প্রশ্ন

২১ দিনের লকডাউন: ন্যূনতম অর্থ, খাদ্যের ব্যবস্থা কেন হল না? উঠছে প্রশ্ন

3 stocks recomended

নয়াদিল্লি: করোনা সতর্কতা জারির জন্য গোটা দেশ জুড়ে লক ডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকেই চালু হবে এই লক ডাউন। নরেন্দ্র মোদীর এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরই রাজনৈতিক মহলে ছড়িয়ে নয়া জল্পনা৷

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনগণের উদ্দেশ্যে ভাষণের সময় জনসাধারণের নিত্যপ্রয়োজনীয় সমস্যার সমাধান নিয়েও কথা বলা উচিত ছিল প্রধানমন্ত্রীর৷  টুইটারে এই নিয়েই চলছিল জল্পনা৷ শশী থারুর টুইটারে লিখেছেন সেই কথা৷ পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীকে তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন এই সিদ্ধান্তের জন্য৷ একই সুর টেনে নাম না ধরে চেতন ভগত লেখেন, ‘জনগণের মনে অনেক সংশয় তৈরি হল। সেগুলি ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন।’ এই প্রসঙ্গে ভাষণ চলাকালীন লক ডাউনের সময়ে সাধারণ মানুষের সমস্যার বিষয়ে কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি বলে সমালোচনা করেছেন সীতারাম ইয়েচুরিও৷

প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়ে বাংলা থেকেও৷ ২১ দিনের লকডাউক ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বাম নেতৃত্ব৷ কেন সাধারণ মানুষের জন্য নূন্যতম খাবার সরকারি ভাবে বিলি করার কোনও উদ্যোগ দেওয়া হল না? প্রশ্ন তুলেছেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী৷ জাতির উদ্দেশ্যে আজ আজ প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের উপর প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন এসইউসিআই কমিউনিস্টের সাধারণ সম্পাদক প্রভাস ঘোষ৷

তিনি জানিয়েছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে যে ভয়াবহ অবস্থার কথা বলেছেন তা বাস্তব৷ কিন্তু এই পরিস্থিতিতে দেশবাসী আশা করেছিল টেস্ট কিট নিয়ে গুরুতর সমস্যা সমাধানে তিনি কিছু ব‍্যবস্থার কথা বলবেন, যার কিছুই ভাষণে নেই৷ যে দেশে এমনিতেই গরিব মানুষ অনাহারে প্রতিদিন মারা যায় সেখানে সরকার তাদের রক্ষা করার জন্য বিনামূল্যে খাদ্য দ্রব্য দেওয়ার ব্যবস্থা করবে৷ দিনমজুরি যারা করেন এখন কাজ বন্ধ হওয়ার ফলে তারা রোজগারহীন হয়ে পড়ছেন, তারা যাতে বেঁচে থাকার মত ন্যূনতম অর্থ পান খাদ্য পান সেটা দেখাও সরকারেরই দায়িত্ব৷ কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে সেই দায়িত্বের কোনও লক্ষণ পাওয়া গেল না৷ এটা দেশবাসীকে খুবই হতাশ করবে৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × five =