উৎসবের মরশুমে কমছে ভোজ্য তেলের দাম, হাসি ফুটল আম জনতার মুখে

উৎসবের মরশুমে কমছে ভোজ্য তেলের দাম, হাসি ফুটল আম জনতার মুখে

নয়াদিল্লি: উৎসবের মরশুমে আকাশ ছোঁয়া বাজার দর৷ প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে জ্বালানি তেলের দাম৷ সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম অবস্থা৷ এমাবস্থায় দীপাবলির আগে আম জনতার জন্য সুখবর৷ দাম কমছে ভোজ্য তেলের৷ তেল সংস্থাগুলির সংগঠন সলভেন্ট এক্সট্র্যাক্টর অ্যাসোসিয়েশনের তরফে  জানানো হয়েছে, প্রতি কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা কমবে ভোজ্য তেলের৷ 

আরও পড়ুন- মাস্কহীন মোদীর আলিঙ্গনে অস্বস্তিতে রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো, বিদ্ধ তির্যক মন্তব্যে

এর আগে কেন্দ্রের তরফেও ভোজ্য তেলের দাম কমানোর জন্য পদক্ষেপ করা হয়েছিল৷ গত ৩১ অক্টোবর প্রতি কেজি পাম তেলের দাম ১৬৯.৬ টাকা থেকে কমিয়ে ১৩২.৯৮ টাকা করা হয়েছিল। দাম কমেছিল সোয়া তেলেরও৷ তবে সরষের তেল, বাদাম তেল ও সূর্যমূখী তেলের দামে সেই সময় কোনও হেরফের হয়নি৷ অবশেষে উৎসবের মরশুমে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিল তেল সংস্থাগুলি।

গত অক্টোবর মাসে আমদানি শুল্ক ও কৃষি কর কমানোর কথা ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। ভোজ্য তেলের দাম কী ভাবে কমানো যায় তা ঠিক করতে গত মাসের শেষেই আলোচনায় বসেছিল কেন্দ্র ও রাজ্যগুলি৷ রাজ্যগুলিকে ভোজ্য তেল এবং তৈলবীজ গুদামজাত করার ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দিতে বলা হয়৷ এই ভাবে ভোজ্য তেলের দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে কেন্দ্র। যদিও সরকারের বক্তব্য, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্য তেলের দাম বাড়ার জরেই ভারতের বাজারে প্রভাব পড়ছে৷ তবে বিভিন্ন ভাবে তেলের দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার৷  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × three =

কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে হেঁশেলে স্বস্তি! কমছে ভোজ্য তেলের দাম

কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে হেঁশেলে স্বস্তি! কমছে ভোজ্য তেলের দাম

নয়াদিল্লি:  উমা আমছে ঘরে৷  চারিদিকে পুজোর গন্ধ৷ মায়ের আগমনের আগে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তে স্বস্তির হাওয়া আম আদমির হেঁশেলে৷  ভোজ্য তেলের  ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের পথে হাঁটতে চলেছে মোদী সরকার। পাম, সয়াবিন এবং সূর্যমুখী তেলের শুল্ক আরও কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কমছে আমদানি শুল্ক। যার জেরে খুচরো বাজারে ভোজ্য তেলের দাম কমতে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে৷ 

আরও পড়ুন- প্রেমে প্রত্যাখ্যান! বদনাম করতে তরুণীকে ‘সেক্স টয়’ পাঠাল যুবক 

এতদিন অপরিশোধিত পাম তেলের আমদানি শুল্ক ছিল ১০ শতাংশ৷ এই শুল্কের হার কমিয়ে ২.৫ শতাংশ করা হয়েছে বলে কেনেদ্রের তরফে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি অপরিশোধিত সয়াবিন তেল এবং সাদা তেলের আমদানি শুল্কও ৭.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২.৫ শতাংশ করেছে দিল্লির সরকার৷  অন্যদিকে, ৩২.৭৫ শতাংশ শুল্ক বসবে রিফাইনড পাম তেল, সয়াবিন এবং সাদা তেলের উপরে।  ইতিমধ্যেই নয়া হার কার্যকর হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমদানি শুল্ক কমায় খুচরো বাজারে প্রতি লিটার ভোজ্য তেলের দামও ৪ থেকে ৫ টাকা কমতে পারে। কিন্তু শুল্ক কমানোয় সরকারের রাজস্বে আনুমানিক ১১০০ কোটি টাকার ক্ষতি হবে বলে জানানো হয়েছে৷ 

উল্লেখ্য, গত এক বছরে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে ভোজ্য তেলের দাম৷ একবছর আগে, যেখানে এক কেজি সরষের তেলের দাম ছিল ১২০ টাকা, এখন তা বেড়ে হয়েছে ১৭৫ টাকা। সরকারি তথ্য বলছে, গত এক বছরে পাম তেলের দাম বেড়েছে ৬৪ শতাংশ। প্রসঙ্গত, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ভোজ্যতেলের আমদানি করে ভারত। দেশের ভোজ্যতেলের চাহিদা আমদানির মাধ্যমেই পূরণ করা হয় এবং সেই হার প্রায় ৬০%। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − sixteen =