নয়াদিল্লি: প্রথম দফায় প্রায় তিন ঘন্টা এবং পরবর্তীতে সাড়ে ছয় ঘণ্টা থেকে সাত ঘন্টা। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে সোমবার এমনভাবেই দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কিন্তু তাতেও খুশি ইডি কর্তারা। আর তাই মঙ্গলবার ফের তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হল রাজধানী দিল্লির ইডি দফতরে। জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার ফের ইডি আধিকারিকদের মুখোমুখি হতে পারেন রাহুল। তবে তার আগে, সোমবারের ঘটনাপ্রবাহ থেকে শিক্ষা নিয়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন হয়েছে আকবর রোডে কংগ্রেসের সদর দফতরের বাইরে। রাহুলের হাজিরাকে কেন্দ্র করে আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার আবারও যাতে অসান্তি না হয় তাই আগেভাগেই আকবর রোডে কংগ্রেসের সদর দফতর চত্বরে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। তবে শুধু কংগ্রেসের সদর দফতরই নয়, ২ কিলোমিটার দূরে ইডি অফিসও কড়া নিরাপত্তার বেড়াজালে মুড়ে ফেলা হয়েছে। সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ রাহুল গাঁধীর বাসভবনে ঢুকতে দেখা যায় প্রিয়ঙ্কা গাঁধীকে। তবে রাহুল গান্ধী কখন বাড়ি থেকে বেরোবেন এবং ইডি দফতরের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।
উল্লেখ্য, সোমবার সকাল সওয়া ১১টা নাগাদ দিল্লির মোতিলাল নেহেরু মার্গ দিয়ে বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, পি চিদাম্বরমকে সঙ্গে নিয়ে কার্যত মিছিল করে ইডি দফতরে পায়ে হেঁটে হাজিরা দেন রাহুল। তার এই মিছিলকে কেন্দ্র করে রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় দিল্লির রাজপথে। এরপর প্রথম দফায় তাঁকে প্রায় তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বেলা তিনটার দিকে দেওয়া হয় ৮০ মিনিটের লাঞ্চ ব্রেক। সামান্য ওই বিরতির সময়েই রাহুল বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে সঙ্গে নিয়ে মা তথা কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে যান হাসপাতালে। এরপর সেখান থেকে ফিরে সোমবার বিকেলে ফের ইডি দফতরে আসেন রাহুল এবং দ্বিতীয় দফায় তাঁকে রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি আধিকারিকরা।
অন্যদিকে সোমবার রাহুল গান্ধীর ইডি দফতরে হাজিরাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ প্রদর্শিত হয়েছিল দিল্লির রাস্তায়। শীর্ষ কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরমসহ আরো অনেকেই রাস্তায় নেমে এদিন প্রতিবাদ জানান। ফলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় কংগ্রেস নেতা কর্মীদের। আরে ধস্তাধস্তিতেই কংগ্রেস সাংসদ পি চিদাম্বরম এবং প্রমোদ তেওয়ারি আহত হয়েছেন বলে খবর। তাঁদের দুজনের বুকের পাঁজরেই চিড় ধরেছে বলে কংগ্রেসের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে। অন্যদিকে দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগে সোমবার ২৬জন সাংসদ, ৫ জন কংগ্রেস বিধায়কসহ মোট ৪৫৯ জনকে আটক করা হয়েছে।