থাকে বৈঠকে, বসে পাশের চেয়ারেই, সর্বক্ষণের সঙ্গী রতন টাটাকে ‘দত্তক’ নিয়েছিল গোয়া!

থাকে বৈঠকে, বসে পাশের চেয়ারেই, সর্বক্ষণের সঙ্গী রতন টাটাকে ‘দত্তক’ নিয়েছিল গোয়া!

নয়াদিল্লি: মুম্বইয়ে বিরাট ঝাঁ চকচকে দফতর৷ সেখানেই সাক্ষাৎকার নিতে গিয়েছিলেন এক সাংবাদিক৷ কিন্তু ভিতরে ঢুকতেই ইতস্তত হয়ে পড়েন তিনি৷ যাঁর সাক্ষাৎকার নেবেন বলে এসেছেন, তাঁর ঠিক পাশেই ‘রাজা’র মতো বসে রয়েছে একটি সারমেয়৷ দারজা দিয়ে ভিতরে ঢোকা প্রত্যেক আগুন্তুকের দিকে কড়া নজর রয়েছে তাঁর৷ তাকে দেখে একটু ঘাবড়েই গিয়েছিলেন সাংবাদিক৷ 

আরও পড়ুন- কেরল নিয়ে ভয় অব্যাহত, দেশের সংক্রমণ গ্রাফ আজ নীচে

মুম্বইয়ের অফিসে যাঁর সাক্ষাৎকার নিতে গিয়েছিলেন ওই সাংবাদিক, তিনি আর কেউ নন, রতন টাটা৷ তাঁর চেয়ারের ঠিক পাশেই বসেছিল ওই সারমেয়টি৷ তার নাম গোয়া৷ জানা যায়, রতন টাটার সর্বক্ষণের সঙ্গী সে৷ সাংবাদিককে ভিতরে ঢুকতে বলা হয়৷ এদিকে, আগন্তুককে দেখে তখন সচকিত গোয়া৷ তাকে দেখে একটু ভয়ই পাচ্ছিলেন সাংবাদিক৷ রতন টাটার চেয়ারম্যান শান্তনুকে সে কথা জানিয়েছিলেন তিনি৷ কোনও ভাবে তা জানতে পেরে যান রতন৷ 

সাংবাদিকের ভয়ের কথা শুনে মৃদু হাসেন রতন৷ এর পর পাশের চেয়ারে বসা সারমেয়র দিকে তাকিয়ে বলেন, ‘‘গোয়া উনি তোমাকে দেখে ভয় পাচ্ছেন৷ ভালো ছেলের মতো চুপ করে বসে থাকবে৷’’ আর্শ্চর্যজনক ভাবে এর পর কেমন যেন শান্ত হয়ে গেল গোয়া৷ এর পর প্রায় ৩০-৪০ মিনিট ওই ঘরে বসেছিলেন সাংবাদিক৷ একটি বারের জন্যেও তাঁর ধারে কাছে যায়নি গোয়া৷ সারাক্ষণ বসেছিল শান্ত হয়ে৷ ওই সাংবাদিক বলেন, ‘‘এমনটা আমি আগে কখনও দেখিনি৷ সত্যিই আশ্তর্য হয়ে গিয়েছিলাম৷’’

 
গোয়া কোনও বিদেশি প্রজাতির সারমেয় নয়৷ সে একটি পথকুকুর৷ আসলে টাটা গ্রুপের আন্তর্জাতিক সদর দফতর বম্বে হাউসে পথকুকুরদের দেখাশোনা করার বন্দোবস্ত রয়েছে৷ সেই পথকুকুরদেরই এক জন হল গোয়া। তবে তাদের সকলকে ছাপিয়ে রতনের সবচেয়ে প্রিয় হয়ে উঠেছে কালো-সাদা রং-এর এই সারমেয়টি। 

গোয়া প্রসঙ্গে ওই সাংবাদিককে রতন বলেছিলেন, ‘‘গোয়া আমাদের দত্তক নিয়েছিল৷ পরে আমরা ওকে দত্তক নিই৷’’ বম্বে হাউডে গেলেই দেখা মিলবে গোয়ার৷ রতন টাটার আসনের ঠিক পাশেই তার স্থান৷ শুধু ঘরেরই নয়, কোনও আলোচনা বা বৈঠকেও রতনের সর্বক্ষণের সঙ্গী গোয়া৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × three =