নয়াদিল্লি: গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন সদ্য বাংলাদেশ থেকে টেস্ট সিরিজ খেলে দেশে ফেরে ক্রিকেটার ঋষভ পন্থ। দিল্লি হয়ে নিজের বাড়ি ফিরছিলেন তিনি পরিবারের সঙ্গে নতুন বছর কাটাবেন বলে। চেয়েছিলেন বাবা-মাকে সারপ্রাইজ দিতে। কিন্তু রাস্তায় বিরাট দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছে ভারতীয় দলের ক্রিকেটার ঋষভ পন্থকে। দিল্লি-দেহরাদুন হাইওয়েতে তাঁর গাড়ি রাস্তার ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। তিনি নিজেই চালাচ্ছিলেন গাড়ি এবং একাই ছিলেন। দুর্ঘটনার পর সেই গাড়িতে আগুন লেগে যায়। কোনওক্রমে জানলার কাঁচ ভেঙে তিনি বেরিয়ে আসেন, তাতেই প্রাণ রক্ষা হয়।
আরও পড়ুন- শোকের শুক্রবার! পরপর খারাপ খবরে ঘুম ভাঙল দেশের
কিন্তু কী ভাবে হল এই দুর্ঘটনা? যে সিসিটিভি ফুটেজ সামনে এসেছে তা দেখে যা বোঝা গিয়েছে সেই প্রেক্ষিতে বলা যায়, কুয়াশাছন্ন রাস্তায় বেশ জোরেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন ভারতের এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। ফুটেজে দেখা যায়, সজোরে এসে এক ডিভাইডারে ধাক্কা মারে তাঁর গাড়ি। তবে পুলিশের কাছে পন্থ নিযে জানিয়েছেন, গাড়ি চালানোর সময় তাঁর চোখ লেগে গিয়েছিল। কার্যত ঘুমিয়ে পড়েছিলেন তিনি। এই দুর্ঘটনার ফলে মাথায়, পিঠে এবং পায়ে চোট পেয়েছেন পন্থ। পিঠের কিছু অংশ পুড়েও গিয়েছে। যদিও জানা গিয়েছে, তাঁর অবস্থা এখন স্থিতিশীল। চিকিৎসকদের বক্তব্য, বরাত জোরে বেঁচে গিয়েছেন তিনি। ঠিক সময়ে গাড়ি থেকে না বেরিয়ে আসতে পারলে ভয়ানক কিছু ঘটে যেত।
জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার পর ঋষভকে গাড়ি থেকে বের হতে সাহায্য করেন এক স্থানীয় বাস চালক। তিনি ঋষভকে গাড়ি থেকে টেনে বের করে আনেন এবং অ্যাম্বুলেন্স ডেকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। তিনি পরে সংবাদমাধ্যমে জানান, গাড়ি থেকে বের করার সময়ে পন্থ ছিলেন অর্ধনগ্ন, সারা মুখ, দেহ রক্তে মাখামাখি ছিল। তিনি শুধু বিড়বিড় করে বলছিলেন, ‘আমি ঋষভ পন্থ’। যদিও চালকের দাবি তিনি তাঁকে চিনতে পারেননি। তিনি ক্রিকেট দেখেন না বলেও জানান। তবে তাঁর সাহায্যেই যে ঋষভ পন্থ সময় মতো গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন তা বলাই বাহুল্য।
এদিকে এই দুর্ঘটনার মধ্যেই অমানবিক আরও একটি ঘটনা ঘটেছে। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার পর অনেকেই সেখানে ঋষভকে সাহায্য করার বদলে ছবি, ভিডিও তুলতে ব্যস্ত ছিলেন। শুধু তাই নয়, পন্থের ব্যাগ থেকে আর গাড়িতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বেশকিছু টাকাও নাকি অনেকে তুলে নিয়ে সেখান থেকে চলে যান। এই ঘটনার খবর সামনে আসতেই ছিছিক্কার পড়েছে।