পুরী: পুরীর রত্নভাণ্ডার খোলা হয়েছে ৪৬ বছর পর৷ তবে তা থেকে যা পাওয়া যাবে মনে করা হয়েছিল তেমন কিছুই পাওয়া যায়নি৷ রত্নভান্ডার খোলার পর, একটিও সাপ পাওয়া যায়নি। পাওয়া গিয়েছে সোনার গয়না, মুকুট, জগন্নাথের হাত-পায়ের মতো সম্পদ৷ কিন্তু তাতে কি শেষ হয়ে গেল রহস্য? না একেবারেই নয়৷ ভক্তদের দাবি এ রত্মভাণ্ডারের মধ্যেই রয়েছে এক গোপন সুড়ঙ্গ পথ৷ সেখানেই রয়েছে আসল রত্নভাণ্ডার৷ তাহলে সেই রত্নই কি পাহারা দিচ্ছেন নাগদেব?
এবার সেই সুড়ঙ্গের খোঁজ করবে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া। এর জন্য রত্ন ভান্ডারের ভিতরের কক্ষটিতে লেজার স্ক্যান করতে চলেছে এএসআই। পুরো রত্নভান্ডারটির সংস্কার করবে এএসআই। তার জন্য, বৃহস্পতিবারই রত্নভান্ডারের বাইরের ও ভিতরের কক্ষে থাকা সমস্ত সম্পদ একটি অস্থায়ী স্ট্রংরুমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কক্ষগুলি পুরোপুরি খালি করার পরই সেখানে সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে। পুরীর রাজ পরিবারের সদস্য তথা জগননাথ মন্দিরের পরিচালন পর্ষদের চেয়ারম্যান দিব্যসিংহ দেব জানিয়েছেন, রত্নভান্ডারের ভিতরের কক্ষে গোপন সুড়ঙ্গ থাকা নিয়ে জল্পনা দূর করতে উন্নতমানের যন্ত্রপাতি দিয়ে লেজার স্ক্যানিং করবে। তার আগে, মন্দির কর্তৃপক্ষ রত্নভান্ডারের ভিতরের ও বাইরের কক্ষ পরীক্ষা করবে। তারপর, এই দুই কক্ষেরই দখল নেবে এএসআই। এরপরই বোঝা যাবে সত্যিই কি এমন কোনও সুড়ঙ্গ আদৌ আছে পুরীর রত্নভান্ডারে৷