দিল্লি: কি ভাবছেন ওদের কেউ নেই? পথ কুকুরদের সঙ্গে যা খুশি তাই করা যায়?
ইঁট পাটকেল ছুড়ে মারার দিন শেষ! ভুলেও বিষ দিয়ে মারার পরিকল্পনা করবেন না। বাকি জীবনটা কি জেলে কাটাতে চাইছেন? স্ট্রিট ডগদের জন্য নতুন আইনটা জানেন তো? না জানলে আপনার বড় বিপদ হতে পারে।
দুটো চোখে মায়া, করুণ মুখে দুটো খাবারের জন্য এখানে ওখানে ঘুরে বেড়ায় ওরা। খিদের জ্বালা বড় জ্বালা। তাই, এই নিরীহ প্রাণীগুলোর অসহায়তার সুযোগ নিয়ে কেউ গায়ে গরম জল হিঁচে দেয়। কেউ খাবারের সাথে মিশিয়ে দেয় বিষ। ইট পাটকেল ছুড়ে মারা, পা ভেঙে দেওয়া, দড়ি বেঁধে টেনে হিচড়ে নিয়ে যাওয়া এসব তো রোজকার ঘটনা। কিন্তু, এবার থেকে এসব করার আগে এক নয়, একশোবার ভাবুন। নয়া আইনে পথ কুকুরদের উপর হামলা, বিষ খাওয়ানো, পঙ্গু করে দেওয়ার মতো অপরাধ করলে অভিযুক্তকে পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড, ফাইন এমনকী উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার কথা বলা হয়েছে।
হ্যাঁ, স্ট্রিট ডগদের উপর হামলা, বিষ দিয়ে মেরে দেওয়ার প্রবণতা বন্ধে নতুন আইন এনেছে কেন্দ্র। আশা করা যাচ্ছে তে প্রথম কুকুরদের উপর আক্রমণের ঘটনা কমবে। পশু পেমি থেকে শুরু করে আইনজীবী অনেকেই বলছেন, এতোদিন ৪২৮ নম্বর ধারায় খুব সামান্য টাকার বিনিময়েই জামিন পাওয়া যেত। কিন্তু, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা আইনে সর্বোচ্চ সাজা ৫ বছর পর্যন্ত করার কথা বলা হয়েছে। চারটি খানি কথা নয়। তাই ওদের গায়ে হাত দেওয়ার আগে নিজের বাকি টা দিব জীবন গারোতে কাটাতে চান কিনা সেটা একবার ভেবে দেখুন। কিন্তু এই যে জরিমানা দিতে হবে সেটার পরিমাণ কত? জরিমানার পরিমাণ ঠিক করবে আদালত।
যদিও পথ কুকুরদের সংগঠন বা ওদের বিভিন্ন এনজিও গুলো বলছে, অনেকদিন আগেই এই পরিবর্তন প্রয়োজন ছিল। কারণ, পথ কুকুরদের উপর হামলার ঘটনা দিনে দিনে বাড়ছে বই কমছে না। কিন্তু, বেটার লেট দ্যান নেভার।
এতোদিন পর কুকুরদের উপর অত্যাচার এর ঘটনায় আইপিসির ৪২৮ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করত পুলিশ। তাতে সর্বোচ্চ সাজা ছিল ২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড। কিন্তু, ভারতীয় আইন সংহিতার ৩২৫-এ ধারায় সাজার মেয়াদ যে বাড়ানো হলো, এখন দেখার সেটার প্রয়োগ কতটা হবে? কতটা সুবিচার পাবে নিরীহ প্রাণগুলো? কতটা সহযোগিতা করবে প্রশাসন? উত্তর দেবে সময়।