নয়াদিল্লি: ‘গাঙ্গুবাই’ ছবিতে যৌনকর্মীদের অধিকারের দাবিতে লড়েছিলেন আলিয়া ভাট৷ গাঙ্গুবাই চরিত্রে তাঁকে দেখে মুগ্ধ হয়েছিল দর্শকরা৷ যৌনপেশার সঙ্গে যুক্ত মহিলাদের সামাজিক অধিকারের এই লড়াইয়ে দেখে হাততালিও দিয়েছেন অনেকে। কিন্তু এ প্রসঙ্গে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খেয়েছে কলকাতার অলিগলিতেও৷ কারণ মহাদেশের বৃহত্তম যৌনপল্লিটি রয়েছে এই শহরেই৷ তবে আগামী দিনে হয়তো বদলে যাবে যৌনপেশা নিয়ে সামাজিক ধ্যান ধারণা৷ কারণ, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে এই পেশা আর বেআইনি নয়৷ বরং বাকি পেশার মতো এটিও একটি পেশা এবং যৌনকর্মীদেরও সমান অধিকার ও মর্যাদা রয়েছে৷ তাৎপর্যপূর্ণ রায় দিল শীর্ষ আদালত৷ সেই সঙ্গে পুলিশের উদ্দেশে সুপ্রিম নির্দেশ, তারা যেন যৌন কর্মীদের কাজে হস্তক্ষেপ না করে বা তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ না করে৷
আরও পড়ুন- রসগোল্লার জন্য ৪০ ঘণ্টা রেল অবরোধ, রুট পরিবর্তন শতাধিক ট্রেনের
বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাওয়ের বেঞ্চ মোট ছয়টি নির্দেশিকা জারি করেছে৷ এই নির্দেশিকার মাধ্যমে যৌনকর্মীরা সুরক্ষা পাবেন বলেই মনে করা হচ্ছে৷ তিন সদস্যের বেঞ্চ এদিন তাৎপর্যপূর্ণ রায়ে বলেন, ‘‘যৌনকর্মীদেরও সমমর্যাদা ও সমান অধিকার রয়েছে৷ আইনের চোখে তাঁরাও সমান সুরক্ষার অধিকারী। একজন যৌনকর্মী প্রাপ্তবয়স্ক এবং নিজের ইচ্ছেতেই যৌনতা বিক্রি করেন৷ তাই তাদের কাজে পুলিশকে অকারণ হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকতে হবে। কোনও ফৌজদারি ব্যবস্থাও গ্রহণ করা যাবে না। সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদ এই দেশের প্রত্যেক নাগরিকের মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপনের অধিকার সুনিশ্চিত করেছে।’’ সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে খুশির হাওয়া নিষিদ্ধ পল্লিতে৷
পাশাপাশি যে সকল যৌনকর্মীরা মা, তাঁদের জন্যেও বিশেষ পর্যবেক্ষণ রেখেছে সর্বোচ্চ আদালত৷ তিন বিচারকের বেঞ্চ মনে করে, মা যৌনকর্মী, শুধুমাত্র এই যুক্তিকে সন্তানকে মায়ের কাছ থেকে সরিয়ে নেওয়া উচিত নয়৷ বিশেষ কারণ ছাড়া মায়ের কাছ থেকে সন্তানকে সরানো যাবে না৷ সেই সঙ্গে যৌনকর্মীরা কোনও অত্যাচারের শিকার হলে, তাঁদের অভিযোগ শুনতে হবে পুলিশকে৷ বিশেষ করে যদি কোনও যৌন কর্মী শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ আনেন, তাহলে অবিলম্বে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করাতে হবে৷ যৌনকর্মীর পরিচয় গোপন রাখতে হবে বলেও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>