কলকাতা: হাইকোর্ট নয়, ডিরেক্ট সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলা। মঙ্গলবারের বিশেষ শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, এই মামলার স্টেটাস রিপোর্ট সরাসরি শীর্ষ আদালতের কাছে জানাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
এদিন ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ আরজি কর মামলার শুনানিতে বসেছিল। আর কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ঘটনায় প্রথম শুনানিতেই বিরক্তি প্রকাশ সুপ্রিম কোর্টের। কেন একটা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের জন্য আলাদা বিশ্রামের জায়গা নেই, তা নিয়েও বিরক্তি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, একটা ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স গঠন করা হবে। চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়টি অনুসন্ধান করে দেখবে সেই টাস্ক ফোর্স। সেই টাস্ক ফোর্সে থাকবেন দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসকেরা। একইসঙ্গে সাধারণ মানুষের বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, আন্দোলন প্রত্যাহারের অনুরোধ সুপ্রিম কোর্টের। এমনকি আরজি কর হাসপাতালে নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশও দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
কিন্তু বিক্ষোভকারীরা পরিষ্কার জানালেন, তাঁদের কর্মবিরতি জারি থাকবে। তাঁদের অনুমান এই ঘটনার নেপথ্যে একাধিক ব্যক্তি যুক্ত রয়েছেন। তাই যতক্ষণ না পর্যন্ত অভিযুক্তরা ধরা পড়বেন ততক্ষণ আন্দোলন চলবে। কর্মবিরতি চলবে। বরং আন্দোলনরত পড়ুয়ারা সিবিআই তদন্তের গতিপ্রকৃতি কী সেটা জানতে চেয়েছেন। বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের উপরে আমাদের আস্থা রয়েছে।
অন্যদিকে, আরজিকরে ঘটনার জেরে এদিন সুপ্রিম কোর্টেও ব্যাকফুটেই থাকল রাজ্য সরকার। রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এমনকি আরজিকর এর প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা ও প্রশ্নচিহ্নের মুখে। কেন ঘটনায় প্রথম এফআইআর এত দেরিতে, সেটা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট।