নয়াদিল্লি: জাঁকিয়ে শীত পড়ছে না বলে খানিকটা মন খারাপ ছিল দেশের মানুষের। কিন্তু নতুন বছরের শুরুতে যে ঠান্ডা পড়েছে তাতে কার্যত জবুথবু অবস্থা দেশের অধিকাংশ রাজ্যের মানুষের। বাংলা সহ অন্যান্য রাজ্যে প্রবল ঠান্ডা পড়লেও সবথেকে বেশি অবস্থা খারাপ হয়েছে উত্তর ভারতের। বিগত কয়েকদিনে সেখানে মোটামুটি ৫ ডিগ্রির নীচেই থেকেছে তাপমাত্রা, কখনও আবার হিমাঙ্কের কাছাকাছি চলে গিয়েছে। এবার আরও বড় আভাস দিল মৌসম ভবন। বলা হয়েছে, আগামী সপ্তাহে তাপমাত্রার পারদ হিমাঙ্কের নীচেও নেমে যেতে পারে উত্তর ভারতে। তাহলে কি বরফপাত দেখা যাবে?
আরও পড়ুন- বাবা কাঠমিস্ত্রি, দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করেই UPSC-তে সফল জয়প্রকাশ, সর্বভারতীয় র্যাঙ্ক ২৭
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুসারে, আগামী ১৪ থেকে ১৯ জানুয়ারির মধ্যে উত্তর ভারতে আরও প্রবল হবে শৈত্যপ্রবাহ। ১৬ থেকে ১৮ জানুয়ারি যা চলে যাবে চরম পর্যায়ে। এই সময়ে দিল্লি, পঞ্জাব, হরিয়ানা সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে তাপমাত্রা মাইনাস চারের কাছেও চলে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে! সেটা হলে এইসব জায়গায় বরফ পড়তে পারে এবং সেটা অস্বাভাবিক নয়। যদিও সেই সম্ভাবনা যে খুব নিশ্চিতভাবে দেওয়া হচ্ছে এমনটা নয়। তবে হিমাঙ্কের নীচে না নামলেও দিল্লি এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের তাপমাত্রা আগামী কয়েকদিনে দুই থেকে চার ডিগ্রির মধ্যেই ঘোরাফেরা করবে। এছাড়া আগামী কয়েকদিন পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগঢ়, দিল্লিতে হালকা বৃষ্টির আভাসও দিয়ে দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
নতুন মাস পড়ার পর থেকে আপাতত টানা ১১ দিন দিল্লির তাপমাত্রা হিমাঙ্কের কাছাকাছি রয়েছে। অন্যদিকে রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, হিমাচল এই সমস্ত রাজ্যেও অনেকটা নেমেছে তাপমাত্রা। কিছু কিছু জায়গায় তো তুষারপাত হয়েছে। তাই আবহাওয়াবিদদের অনুমান, চলতি বছরের শীতকাল একবিংশ শতাব্দীর শীতলতম মরশুম হতে পারে। ইতিমধ্যে আবার শীতের কারণে একাধিক মৃত্যুর খবরও এসেছে, যা মর্মান্তিক।