কলকাতা: কম করে ১৫০ কিমি বেগে আছড়ে পড়বে ‘মোকা’, এমনই পূর্বাভাস আগে থেকেই দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। কিন্তু এই মুহূর্তে এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ বা গতিপথ কী, তা জানতে মুখিয়ে আছে মানুষ কারণ এই ঝড় নিয়ে তারা বেশ আতঙ্কিত। আর সকলের আশঙ্কা বাড়িয়ে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ধীরে ধীরে আরও শক্তি সঞ্চয় করছে ‘মোকা’। আপাতত ১৩ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে এগোচ্ছে সে।
মৌসম ভবন আগেই জানিয়েছে, স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময় মোকার গতি থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৭৫ কিলোমিটার। আগামী ১৪ মে, অর্থাৎ রবিবার দুপুরে বাংলাদেশের কক্সবাজার এবং মায়ানমারের কাউকপুর মধ্যে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা আছে তার। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ‘মোকা’ জন্ম নেওয়ার পর প্রায় ৭২ ঘণ্টা জলে থাকায় সাগর থেকে সে শক্তিসঞ্চয় করছে। আর এই মুহূর্তে সে উত্তরে এগোচ্ছে, মাঝসমুদ্রে বাঁক নিয়ে অভিমুখ পরিবর্তন করবে। অনুমান করা হচ্ছে, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর তা উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাবে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, আন্দামানের পোর্ট ব্লেয়ার বন্দর থেকে ৫৩০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে এবং বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে দক্ষিণ পশ্চিমে ৯৫০ কিলোমিটার দূরে আছে ‘মোকা’।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”তাপপ্রবাহের মধ্যে ৮ জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস! দেখুন আপনার শহর রয়েছে কিনা?” width=”853″>
পশ্চিমবঙ্গের ওপর ‘মোকা’র প্রত্যক্ষ প্রভাব না পড়লেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আজ আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কয়েকটি অংশে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বৃষ্টি হবে শনি এবং রবিবারও৷ অন্যদিকে উত্তর-পূর্ব ভারতের বেশ কিছু রাজ্যেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।