বিকলাঙ্গ শিশুর কাছে পৌঁছতে সাইকেল চুরি, চিঠি লিখে ক্ষমা চাইলেন শ্রমিক

বিকলাঙ্গ শিশুর কাছে পৌঁছতে সাইকেল চুরি, চিঠি লিখে ক্ষমা চাইলেন শ্রমিক

নয়াদিল্লি: আমি আপনার দোষী। কিন্তু আমাকে সাইকেলটা নিতেই হল। আমাকে বরেলিতে বিকলাঙ্গ শিশুর কাছে পৌঁছতেই হবে। সাইকেল চুরির পর এভাবেই লিখে গেলেন একজন পরিযায়ী শ্রমিক। এই চিঠি সর্বভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। তারপর থেকেই এই চিঠি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। বিভিন্ন মহলে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আসলে দায়ী কে। সেই চোর নাকি যে ওই পরিযায়ী অসহায় শ্রমিককে সাইকেল চুরি করতে বাধ্য করেছে।

দেশ জুড়ে লকডাউনের ফলে লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী সব থেকে অসহায় হয়ে পড়েছেন। কর্মহীন পরিযায়ী শ্রমিকরা বিপদের দিনে বাড়িতে থাকতে চাইছেন। প্রিয়জনের কাছে। কিন্তু লকডাউনে যাবেন কী করে। অনেকে তাই পায়ে হেঁটেই বাড়ির দিকে রহনা হয়েছেন। সরকার শ্রমিকদের জন্য বিশেষ ট্রেন চালু করেছে। কিন্তু সেই ট্রেনের সংখ্যা পরিযায়ী শ্রমিকদের তুলনায় নগন্য। তাছাড়া, টিকিটের দাম অনেকেরই ক্ষমতার বাইরে। বাধ্য হয়ে এখনও অনেক পরিযায়ী শ্রমিক হেঁটেই বাড়ি ফিরে চলেছেন।যাঁদের সাইকেল রয়েছে, সেই সাইকেল নিয়েই তাঁরা নিজের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন।

এই পরিস্থিতিতে প্রকাশ পেল সেই চিঠি। সাইকেলের মালিক সাহেব সিংয়ের উদ্দেশে চিঠি লিখে যান বরেলির শ্রমিক মহম্মদ ইকবাল। সাহেব সিং জানিয়েছেন, তিনি বারান্দা পরিষ্কার করতে গিয়ে চিঠিটা পান। চিঠিতে লেখা আছে, 'আমি একজন শ্রমিক, হতভাগ্যও বটে। আমি দোষী আপনার চোখে। আমি আপনার সাইকেল নিয়ে যাচ্ছি, আমায় ক্ষমা করে দেবেন। আমায় বরেলি অবধি যেতে হবে। আমার একটি বিকলাঙ্গ শিশু আছে। তার জন্য আমাকে বাড়ি যেতেই হবে। আমার কাছে আর কোনও বিকল্প নেই।' জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে ভরতপুর গ্রাম থেকে  সাইকেল চুরি করে মহম্মদ ইকবাল। ভরতপুর রাজস্থান ও উত্তরপ্রদেশের সীমান্তে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × four =