নয়াদিল্লি: করোনার অব্যর্থ ওষুধ হিসাবে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের নাম এখন খবরের শিরোনামে। এদিকে মার্কিন প্রসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আবদনে সাড়া দিয়ে আমেরিকায় করোনা মোকাবিলায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন পাঠানো নিয়ে বিস্তর চাপান-উতোর শুরু হয়। এই অবস্থায় দেশের মানুষ আশ্বস্ত করতে আমেরিকায় পাঠানোর পরেও এই দেশে এই ওষুধের যোগান যথেষ্ট থাকবে তা আশ্বস্ত করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
বুধবার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, “এটি নিশ্চিত করা গিয়েছে যে শুধু আজ নয়, ভবিষ্যতের হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের কোনও অভাব থাকবে না দেশে।” ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, করোনার মোকাবিলায় স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য এবং করোনা আক্রান্তের জন্য জরুরি পরিস্থিতিতে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহার করা যেতে পারে। বেশ কয়েকদিন আগে এই ওষুধের উপর যাবতীয় রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও গত মঙ্গলবার কিছু দেশে রফতানি করার ছাড় দেয় কেন্দ্র সরকার।
করোনাভাইরাসের কোনও টীকা এখনও আবিষ্কৃত হয়নি। বিশ্বজুড়ে সেই চেষ্টাই চালাচ্ছেন গবেষকরা। মূলত, ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় ডাক্তাররা প্রেসক্রাইব করলেও, দেখা গিয়েছে করোনার চিকিৎসায় আশাপ্রদ ফল দিচ্ছে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন। যার ফলে, করোনায় এই ওষুধ ব্যবহারে সবুজসংকেত মেলে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও ট্যুইট বার্তায় দাবি করেন, করোনা মোকাবিলায় মেডিসিনের ইতিহাসে নজির সৃষ্টি করবে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন। ম্যালেরিয়া এই প্রতিষেধক উৎপাদনে বিশ্বের মধ্যে ভারত প্রথম সারিতে।
গত ২৫ মার্চ নিঃশব্দে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের রফতানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করে কেন্দ্রীয় সরকার। করোনায় সংকটময় পরিস্থিতিতে এই ওষুধের যাতে আকাল না পড়ে, তার জন্যই তড়়িঘড়ি এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শুধু আমেরিকা নয়, ব্রাজিল সহ আরও অনেক দেশ ভারতের কাছে এই ওষুধ চেয়েছে।