লখনউ: প্রায়ই ১৩৪ বছরের ধর্মীয় বিতর্কে অবসান ঘটিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত৷ টানা ৪০ দিনের শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করেছে সুপ্রিম কোর্টের ৫ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ৷ সেখানে সুপ্রিম কোর্টের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে মালিকানা রামলালার৷ মন্দির হবে সেখানেই৷ সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণা হওয়ার আগে থেকেই শুরু হয়েছিল রাম মন্দির নির্মাণের নকশা৷ আদালতের নির্দেশ জারি হতেই এবার সেই নকশা এখন চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার অপেক্ষায়৷
অযোধ্যায় বিতর্কিত জমিতে মন্দির নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে৷ জমি নিয়ে বিতর্ক থাকলেও মন্দির নির্মাণের প্রস্তুতি একদিনের জন্যও থেমে থাকেনি অযোধ্যার করসেবক পুরামে৷ প্রায় ২৮ বছর ধরে অথাৎ রাম জন্মভূমির আন্দোলনের সময় থেকে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের জন্য পাথর কাটার কাজ শুরু হয়েছে৷ আপাতত যা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, তাতে রাম মন্দির নির্মাণে কোনও সিমেন্ট ব্যবহার করা হবে না৷ রাজস্থান থেকে আনা পাথর কেটে ব্যবহার করা হবে মন্দিরে৷
জানা গিয়েছে, এক তলা পর্যন্ত কাজ প্রায় শেষের পথে৷ সূত্রের খবর, অযোধ্যা রাম মন্দিরের দৈর্ঘ্য হবে ২৬৮ ফুট৷ প্রস্থ হবে ১৪০ ফুট৷ উচ্চতা হবে ১২৮ ফুটেরও বেশি৷ মন্দির নির্মাণ করা হবে দু’তলা৷ প্রথম তলায় থাকবেন রামলালা৷ দ্বিতীয় তলে সাজানো হবে রামের দরবার৷ যে পাথর থেকে মন্দিরে নির্মিত হবে, তা কাটার কাজ ইতিমধ্যে শেষ করে ফেলেছেন কর সেবকরা৷ অযোধ্যায় পড়ে থাকা পাথরের স্তম্ভ দেখলে কিছুটা হলেও অনুমান করা যায়, কেমন হতে পারে ভবিষ্যতে রাম মন্দির৷
জানা গিয়েছে, রাম মন্দিরের প্রথম তলায় থাকবে ১০৬ স্তম্ভ৷ প্রতিটি স্তম্ভের খোদাই করে আঁকা হবে ১৬টি মূর্তি৷ স্তম্ভগুলির উচ্চতা হবে ১৬ ফুট ৬ ইঞ্চির কাছাকাছি৷ দরজার চৌকাঠে মার্বেল পাথরের হবে৷ মন্দিরের মধ্যেই থাকবে নৃত্য মণ্ডপ ও রঙ্গ মণ্ডপ৷ মন্দিরের মধ্যেই থাকবে সিদ্ধদ্বার, গর্ভগৃহ ও মার্গ মন্দির৷ মন্দিরের উপরে থাকবে ৬৫ ফুট উচ্চতার একটি সুবিশাল চূড়া৷ থাকবে বেশ কয়েকটি দেবতার মন্দির৷ রাম, সীতা, হনুমানের মন্দির সেখানে নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে করসেবকদের৷
তবে, গোটাটাই আগের পরিকল্পনা৷ গোটা বিষয়টি চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে কেন্দ্র সরকারের গঠিত নয় ট্রাস্ট৷ কেননা, এই ট্রাস্টের হাতেই রাম মন্দির নির্মাণের নীতি নির্ধারণের দায়িত্ব তুলে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত৷